প্রথম সাক্ষাতে নিজেকে জাহির করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করার কোনো মানে নেই।

হবু সঙ্গী হোক কিংবা প্রেম- প্রথম দেখা করার অভিজ্ঞতাটা বিব্রতকর হতে হবে এমনটা হওয়া জরুরি নয়। প্রথম সাক্ষাৎটা কেমন হলো তা নির্ভর করে দিনশেষে অপরজনের কাছে নিজের কেমন ধারণা রেখে এলেন তার ওপর।

আর সেজন্য কিছু সাধারণ ভুল যেন না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

‘রেডবুক ম্যাগাজিন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো সেই ভুলগুলো সম্পর্কে।

নিজের সম্পর্কে বেশি বলে ফেলা: কথোপকথনে সবসময়ই দুই পক্ষের অংশগ্রহণ থাকাটা জরুরি। আর নিজের সম্পর্কে বলার সময় এটাও খেয়াল রাখা দরকার, সামনে বসে থাকা মানুষটা সম্পর্কেও জানতে চাওয়া উচিত। তাই চেষ্টা করতে হবে নিজের সম্পর্কে বলা আর অপরজনের সম্পর্কে প্রশ্ন করার মধ্যে ভারসাম্য রাখা। কারণ নিজের সম্পর্কেই যদি কেউ অনর্গল বলে যায় তবে অপরপক্ষ বিরক্ত হতে পারেন, আলোচনা আগ্রহ হারাতে পারেন।

মনযোগ ফোনে: কারও সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে যদি খেয়াল করেন ওই মানুষটার মনযোগ ফোনের দিকে তবে সবারই কমবেশি বিরক্তি আসবে। প্রতিটি মানুষেরই উচিত একে অপরের সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের জন্য যদি ফোনে নজর রাখতে হয়ে তবে দেখা করতে আসা মানুষটিকে তা আগেই জানিয়ে রাখুন। আপনি যদি কারও সঙ্গে পরিচিত হতে চান তবে ওই মানুষটা আপনার সম্পুর্ণ মনযোগ পাওয়া উচিত।

প্রশ্ন না করা: দুটি মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার জন্য তাদের মধ্যে আলাপ জমাটা অত্যন্ত জরুরি। আর আলাপ জমানোর জন্য একে অপরকে প্রশ্ন করতে হবে। প্রশ্ন করার মানে হল ওই মানুষটা সম্পর্কে আপনার আগ্রহ আছে। মনে রাখতে হবে আপনি যেমন তার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় বের করেছেন, ওই ব্যক্তিটাও আপনার জন্য সময় বরাদ্দ করেছে।

দেরিতে যাওয়া: প্রথম সাক্ষাতের দিনে তাকে অপেক্ষায় রাখলে সেটা মোটেও ভালো ধারণা তৈরি করবে না। দেরিতে গেলে আপনার অপেক্ষায় থাকা মানুষটা মনে করবে তার কাছে আপনার সময়ের মূল্য নেই। ফলে শুরুতে আপনার প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। কোনো অনিবার্য কারণে যদি দেরি হয়েই যায় তবে অপেক্ষমান মানুষটাকে জানিয়ে দিন এবং পৌঁছানোর পর ক্ষমা প্রার্থণা করুন।

পুরানো সম্পর্কের গল্প বলা: অতীত সবারই থাকে। তবে কারও সঙ্গে নতুন সম্পর্ক তৈরির উদ্দেশ্যে দেখা করার মানে হলো আপনি অতীতকে পেছনে ফেলে সামনে এগোতে চান। কিন্তু সামনের এগোনোর সেই প্রক্রিয়ায় যদি প্রাক্তনদের গল্প নিয়ে বসেন তবে তা মোটেও সুখের হবে না। প্রাক্তন সম্পর্কের ক্ষত না শুকানো পর্যন্ত নতুন সম্পর্কের চেষ্টা করা উচিত নয়।