পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া রো রো ফেরি আমানত শাহকে তোলার জন্য প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআডব্লিউটিএ) সঙ্গে মৌখিকভাবে চুক্তি করেছে বেসরকারি সংস্থা জেনুইন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড।

রোববার (৩১ অক্টোবর) বিআডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার) মো. ফজলুল রহমান ও ওই এন্টারপ্রাইজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বদিউল আলম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মো. ফজলুল রহমান বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় পাটুরিয়ায় আসার কথা ছিল তবে তার উদ্ধারের সক্ষমতা নেই। সেজন্য দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে তিন দফায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেসরকারি সংস্থা জেনুইন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডকে কাজ করতে বলা হয়েছে এবং সোমবার (০১ নভেম্বর) বিকেল থেকে ফেরি আমানত শাহ উদ্ধার অভিযান শুরু করবে বেসরকারি ওই সংস্থাটি।


সিইও বদিউল আলম বলেন, ফেরিটি উদ্ধারের বিষয়ে দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য আমাকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। ০১ নভেম্বর বিকেলের দিকে আমানত শাহ ফেরি তোলার জন্য আমাদের সব ধরনের যন্ত্রাংশ নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছাবে উদ্ধারকারী দল। এছাড়া গত শুক্রবার আমাদের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা আমার কাছে জানতে চেয়েছে কত টাকা খরচ হবে, ওই সময় আমি তাদের ২ কোটি টাকার কথা জানিয়েছি, তারাও আমাকে কাজ করতে বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, ফেরিটি উদ্ধারে আমাদের সংস্থার ২৫০ টন সক্ষমতার তিনটি উইন্স বার্ডজ কাজ করবে। ফেরিটি উদ্ধারে আমাদের ৫০ জন ব্যক্তি কাজ করবে। বিআইডব্লিউটিএ উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা এবং রুস্তম আমাদের কাজে সহযোগিতা করবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ফেরিটি উদ্ধার কাজ শেষ হবে।

এর আগে গত বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে নোঙর করার পর আমানত শাহ নামে রো রো ফেরিটি কাত হয়ে ডুবে যায়। ফেরিটি কাত হওয়ার আগে তিনটি ট্রাক নামতে পারলেও বাকি ১৪টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পদ্মা নদীতে তলিয়ে যায়। তবে এ দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।