বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েডে অ্যাপ লক করার আলাদা কোনো উপায় না থাকলেও বেশ কয়েকটি স্মার্টফোন কোম্পানি নিজেদের ডিভাইসে অ্যাপ লক ফিচার দিয়ে থাকে।
প্রযুক্তির এ যুগে অনেকের জীবনের বড় একটি অংশ জুড়ে থাকে স্মার্টফোন। ছবি, ভিডিও, বার্তা ও আরও নানা তথ্য নিয়ে মানুষের জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি ধারণ করে এ ডিভাইস।
পাশাপাশি, স্মার্টফোনে পাসওয়ার্ড এবং গোপন অ্যাপও থাকতে পারে। উদাহরণ হিসেবে, অনেকের ফোনে ব্যাংকিং অ্যাপ থাকে, বিনিয়োগের অ্যাপ থাকে। আর এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও অ্যাপ ভুল মানুষের হাতে পড়ে গেলে বিপদ হতে পারে।
তবে ভাল খরব হল, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের এসব অ্যাপ ও তথ্য নিরাপদ রাখার জন্য অনেক উপায় রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হল অ্যাপগুলোকে লক করে ফেলা।
বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েডে অ্যাপ লক করার আলাদা কোনো উপায় না থাকলেও বেশ কয়েকটি স্মার্টফোন কোম্পানি নিজেদের ডিভাইসে অ্যাপ লক ফিচার দিয়ে থাকে। কেউ যদি, শাওমি, রেডমি, ওয়ান প্লাস, হুয়াওয়ে ব্র্যান্ডের ফোন ব্যবহার করে থাকেন, তবে পিন, প্যাটার্ন বা ফিংগার প্রিন্ট-এর মাধ্যমে বিল্ট-ইন অ্যাপ লক ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট এক্সডিএ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বিভিন্ন ফোনে এ ফিচারটি ব্যবহার করবেন।
শাওমি/রেডমি
১. ফোনের সেটিংস অ্যাপ চালু করুন।
২. নিচে ক্রপ করে ‘অ্যাপস’ অপশনে চাপ দিন।
৩. পরের পেইজে ‘অ্যাপ লক’ অপশনে চাপ দিন ও ‘টার্ন অন’ অপশনটি বেছে নিন।
৪. নিজের ‘এমআই’ অ্যাকাউন্টে লগইন করুন।
৫. এবার যে যে অ্যাপ লক করতে চান বেছে নিয়ে একটি পিন, প্যাটার্ন অথবা পাসওয়ার্ড সেট করে নিন।
ওয়ানপ্লাস
১. প্রথমেই সেটিংস অ্যাপে যান।
২. নিচে স্ক্রল করে ‘ইউটিলিটিস’ অপশনটি বেছে নিন।
৩. ‘অ্যাপ লকার’ অপশনে চাপ দিন।
৪. পরের স্ক্রিনে নিজের পছন্দের লক পদ্ধতিটি বেছে নিন।
৫. এরপর ‘অ্যাড অ্যাপস’ অপশনে চাপ দিন ও যেসব অ্যাপে সুরক্ষা বাড়াতে চান সেগুলো বেছে নিন।
স্যামসাং
স্যামসাংয়ের ডিভাইসে অ্যাপ, মিডিয়া ও অন্যান্য ফাইল নিরাপদে সংরক্ষণ করার জন্য ‘সিকিওর ফোল্ডার’ ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন। ফিচারটি ডেটা এনক্রিপট করার জন্য স্যামসাং ‘নক্স সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্ম’ ব্যবহার করে থাকে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এক্সডিএ।
১. ফোনের সেটিংস অ্যাপটি চালু করুন।
২. বায়োমেট্রিকস অ্যান্ড সিকিউরিটি অপশনে চাপ দিন।
৩. ‘সিকিওর ফোল্ডার’ অপশনে চাপুন।
৪. নিজের স্যামসাং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সাইন ইন করুন।
৫. এরপর সিকিওর ফোল্ডার কিছু কাজের অনুমতি চাইবে, সেগুলো দিতে হবে।
৬. নিজের পছন্দের লক করার পদ্ধতি বেছে নিয়ে ‘নেক্সট’ অপশন সিলেক্ট করুন। এখানে, ফিঙ্গার প্রিন্ট, পিন, প্যাটার্ন অথবা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
৭. সিকিওর ফোল্ডারের একটি শর্টকাট ফোনের হোম স্ক্রিন ও অ্যাপ ড্রয়ারে যুক্ত হয়ে যাবে।
হুয়াওয়ে/অনার
১. ফোনের সেটিংস অ্যাপ চালু করুন।
২. নিচে স্ক্রল করে ‘সিকিউরিটি’ অপশনে চাপ দিন।
৩. ‘অ্যাপ লক’ অপশনে ট্যাপ করুন ও ‘এনাবল’ অপশনটি বেছে নিন।
৪. স্ক্রিনের ওপরে আসা নির্দেশনা অনুসরণ করে অ্যাপ লকের পদ্ধতি ও অ্যাপ বেছে নিন।
তবে, সব ফোনে এ ফিচার থাকে না। কেউ গুগল পিক্সেল বা স্টক অ্যান্ড্রয়েডে চলা মটোরোলার মতো ফোন ব্যবহার করলে, অ্যাপ লক করার জন্য থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। গুগল প্লে স্টোরে এমন অনেক থার্ড পার্টি অ্যাপ পেয়ে যাবেন। তবে, থার্ড-পার্টি অ্যাপ ব্যবহারের আগে সতর্ক থাকতে হবে। এ অ্যাপগুলো নিরাপত্তার স্বার্থে তৈরি হলেও, অনেক সময় বিজ্ঞাপন বা অন্য কাজে ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যবহার করে থাকে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এক্সডিএ।
ফোনের ব্যক্তিগত অ্যাপগুলো নিরাপদ রাখা দরকারি হলেও, তথ্য সুরক্ষিত রাখার আরও উপায় জেনে রাখা ভালো। একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দেওয়া আছে কিনা সেটি নিশ্চিত করুন এবং ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করাই নিরাপদ।