বন্যায় পুনর্বাসন কর্মসূচিতে সাহায্য ও সহযোগিতার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকিলে তিনি এ কথা জানান।সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বন্যা পুনর্বাসন কার্যক্রম নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও সম্পূর্ণ নিরুপণ হয়নি। আরও এক সপ্তাহ লাগবে। বন্যায় পুনর্বাসন কর্মসূচিতে সাহায্য ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে। বিষয়টি তারা বিবেচনায় নিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
উপদেষ্টা বলেন, বন্যা মোকাবিলায় আমরা যে কাজগুলো করেছি, সেগুলো তারা জানতে চেয়েছেন। এর পরে জানতে চেয়েছেন পুনর্বাসনের বিষয়ে।
এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, বন্যার কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, অনেকে যারা মাছের চাষ করতেন, হাঁস-মুরগি পালন করতেন তাদের সব চলে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এদের সহযোগিতা প্রয়োজন। এগুলোর ব্যাপারে তাদের আমরা জানিয়েছি। তারা বিষয়টি কনসিডারেশনে নিয়েছেন, এ সহযোগিতার ব্যাপারে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির সরকারি অ্যাসেসমেন্ট এখনো সম্পন্ন হয়নি। সম্পন্ন হচ্ছে কিছু কিছু জায়গা থেকে আসছে। সম্পূর্ণভাবে ক্ষয়ক্ষতি হিসাবটা এখনো করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর আমরা সম্পূর্ণভাবে এটা জানতে পারব। কেন্দ্রীয়ভাবে এটা সম্পন্ন করার জন্য পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া এবং পুনর্বাসনের যেগুলি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে সমন্বয় করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এটা জেলা পর্যায়ে হচ্ছে, উপজেলা থানা পর্যায়ে হবে। সব বিস্তরের প্রতিনিধি এই কমিটিগুলোতে রাখা হয়েছে। সম্পূর্ণ বিষয়টি জানতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে। আগামী ১৭ তারিখে মিটিং আছে, এই মিটিংয়ে জানা যাবে।