সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের কঠোর বিধিনিষেধের কারণে বাংলাদেশি যাত্রীদের সৌদি আরবগামী সব ফ্লাইট পরিচালনা আগামী পাঁচদিন (২০ থেকে ২৪মে) স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বিমানের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি কর্তৃপক্ষের হোটেল কোয়ারেন্টাইনসহ বিভিন্ন শর্তারোপের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখলেও সৌদিয়া এয়ারলাইন্স যাত্রী পরিবহন করছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, করোনার সংক্রমণরোধে সৌদি সরকার বাংলাদেশি যাত্রীদের দেশটিতে গমনের ক্ষেত্রে নিজ খরচে বাধ্যতামূলক সাতদিনের কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশনা জারি করেছে। আর যারা করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের কোয়ারেন্টাইন লাগবে না। তবে দুই ডোজ টিকা গ্রহণের পর সরকারিভাবে তারা যে করোনার সনদ পেয়েছেন সে সনদ চিকিৎসক কর্তৃক সত্যায়িত করে সঙ্গে নিতে হবে। এ নিয়েই বিপত্তি ঘটেছে, বিশেষ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনার সনদ সত্যায়িত করতে হলে সরকারি আদেশ থাকতে হবে। সে ধরনের আদেশ এখনো জারি হয়নি। সেজন্য চিকিৎসকরাও সনদ সত্যায়িত করছেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে দুই ডোজ করোনা টিকা নেয়ার সনদ গ্রহণের যে সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে সেটার বারকোড স্ক্যান করলেই সনদ আসল নাকি নকল তা চিহ্নিত করা যায়। এ বিষয়গুলো নিয়ে জটিলতার কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ফ্লাইট স্থগিত করেছে।’
এদিকে সৌদি এয়ারলাইন্সে যাত্রী পরিবহন অব্যাহত রেখেছে। তারা টিকার সনদের বারকোড স্ক্যান করে নিশ্চিত হয়ে যাত্রী পরিবহন করছে বলে জানা গেছে।