নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক এই আদেশ দেন।

এ দিন তাদের আদালতে হাজির করে ১৫ জনের সাতদিন রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক মনজুরুল হাসান খান। বাকি ৩৫ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী সাদেকুল ইসলাম ভুঁইয়া (জাদু) এ তথ্য জানান।

সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে আদালত বন্ধ থাকায় রিমান্ড শুনানি মুলতবি রাখার আবেদন করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হজরত আলী। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দিন ধার্য সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রিমান্ড আবেদন করা আসামিরা হলেন—ছাত্রদল ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, জিহাদুল হক রঞ্জু ও ঝলক মিয়া, সূর্যসেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার, ঢাবি শাখার সাবেক সহসম্পাদক আল ইমরান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী শাহাদাত হোসেন, বিএনপি কর্মী সজিব, ছাত্রদলের সাবেক নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুবদলের শেরে বাংলা নগর থানা যুবদলের সভাপতি আতিকুর রহমান অপু, যুবদল কর্মী হাসান আলী, ছাত্রদল কর্মী মুতাছিম বিল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা গাজী সুলতান জুয়েল, সাবেক ছাত্রদল নেতা রেজাউল ইসলাম প্রিন্স, বিএনপি কর্মী শুক্কুর এবং আবুল হোসেন হাওলাদার আশিক।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। সেই সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সমাবেশ থেকে ৫০ জনকে গ্রেফতার করে।

মামলায় যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ ৯৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে পুলিশ।