ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়নে সম্প্রতি হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এ ঘটনার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তিনি এই হামলা সহ্য করবেন না এবং হুতি বিদ্রোহী ও তাদের পৃষ্ঠপোষক ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
নেতানিয়াহু এক ভিডিওতে বলেছেন, অতীতেও ইরানের সমর্থনপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এবং ভবিষ্যতেও তা চলবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিশোধের পদক্ষেপ এক দফায় নয়, বরং একাধিক দফায় নেয়া হবে এবং সময় ও অবস্থান বেছে ইরানকে এর ফলাফল ভোগ করতে হবে।
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নেতানিয়াহু সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোদুলিদেসের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, “আমরা এবং গোটা বিশ্ব এখন হুতিদের হুমকির মুখে। আমরা এটা সহ্য করব না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেব।” নেতানিয়াহু আরও বলেন, “হুতি বিদ্রোহীরা তাদের পৃষ্ঠপোষক ইরানের নির্দেশনা অনুযায়ী হামলা চালাচ্ছে, এবং আমরা তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত সতর্কবার্তা দেব।”
রোববার, ২২ এপ্রিল, ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরে হুতি বিদ্রোহীরা এক নজিরবিহীন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা সাম্প্রতিক সময়ে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে তাদের প্রথম সফল হামলা। হামলায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে এবং বিমানবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।
এই হামলার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা হামলা প্রতিহত করার জন্য কয়েকবার প্রচেষ্টা চালালেও, ইয়েমেন থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্যে আঘাত হানে। হামলার পর, ইসরায়েলি নিরাপত্তা ক্যাবিনেট জরুরি বৈঠক করেছে।
হুতিরা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে, এটি গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে চালানো একটি সামরিক অভিযান ছিল। তাদের দাবি, হামলায় হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর, ইসরায়েলি সরকারের কড়া প্রতিক্রিয়া এবং ভবিষ্যতে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের পরিকল্পনা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করছেন।