যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপে রাশিয়াকে খেলার সুযোগ দেওয়া হলে তা ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর একটি ‘অনুপ্রেরণা’ হতে পারে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের পর থেকে রাশিয়ার জাতীয় ফুটবল দলকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা এবং উয়েফা। ফলে তারা অংশ নিতে পারছে না কোনো বিশ্ব টুর্নামেন্টে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন, যদি ২০২৪ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি “প্রথম দিনই” ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে রাশিয়ার খেলার সুযোগ নেই। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বিশ্বকাপে স্বাগতিক তিন দেশ ছাড়াও ৪৫টি দলের জায়গা রয়েছে। বাছাইপর্ব শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে।
তবে ট্রাম্প বলছেন, রাশিয়াকে আবার বিশ্বকাপে ফিরিয়ে আনা হলে সেটা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের পথ খুলে দিতে পারে।
২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে গঠিত নিজের প্রশাসনের প্রথম টাস্কফোর্স বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন তিনি। সেদিন তার পাশে বসে ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ট্রাম্প বলেন, তিনি জানতেন না রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ।
জবাবে ইনফান্তিনো বলেন, “হ্যাঁ, এখন তারা নিষিদ্ধ। তবে আমরা আশা করি কিছু একটা ঘটবে, শান্তি ফিরে আসবে, আর তখন রাশিয়া হয়তো আবার খেলতে পারবে।”
ট্রাম্প এরপর বলেন, “তা তো হতে পারে। দেখুন, এটা এক ধরনের ভালো অনুপ্রেরণা হতে পারে, তাই না? আমরা চাই তারা থামুক। প্রতি সপ্তাহে ৫ হাজার তরুণ মারা যাচ্ছে। এটা কল্পনাই করা যায় না।”
এই মন্তব্যে ট্রাম্প বোঝাতে চেয়েছেন, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগকে কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে যুদ্ধ বন্ধের একটি চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে এটি নিয়ে এখনো আন্তর্জাতিক মহলে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।