হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের দেড়শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) চুনারুঘাট থানায় মামলাটি দায়ের করেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন।
মামলায় ব্যারিস্টার সুমনসহ ৯৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৭০ থেকে ৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চুনারুঘাট থানাধীন শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোল চত্বর এলাকায় ছাত্র-জনতার ঢল নামে। ব্যারিস্টার সুমনের নির্দেশে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা ছাত্র-জনতার ওপর ইটপাটকেল ছোড়েন এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ নানা শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ গুরুতর আহত হন।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন – চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইফুল আলম রুবেল, ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশ, রুমন ফরাজী, মানিক সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ওয়াহেদ আলী ও আব্দালুর রহমান, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পিপি এম আকবর হোসেইন জিতু, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী, কবির মিয়া খন্দকার, আব্দুল হান্নান এবং রজব আলী।
বাদী নাসির উদ্দিনের অভিযোগ, আন্দোলনের সময় ব্যারিস্টার সুমনের নির্দেশে মানিক সরকার তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে বড়গাঁও এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে অলিউর রহমানকে আঘাত করেন। আরেক আসামি কবির মিয়া খন্দকার তাকে রড দিয়ে মারধর করেন। এতে অলিউর রহমান গুরুতর আহত হন। অন্য আসামিরাও অস্ত্র হাতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে বেধড়ক মারপিট করেন।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, বুধবার ভোরে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলায় এমপিসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।