ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা করেছে সরকার। আগামী জুলাই থেকে নতুন ভাতা কার্যকর হবে। সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সৈয়দ আলী বিন হাসান সই পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়। অর্থ বিভাগ বলেছে, আগামী জানুয়ারি থেকে ট্রেইনি চিকিৎসকরা মাসে ৩০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। আর আগামী জুলাই থেকে তাদের ভাতা হবে ৩৫ হাজার টাকা। সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজে ফিরবেন বরে জানিয়েছেন গত আট দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসা চিকিৎসকরা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন ও অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের বেসরকারি অবৈতনিক রেসিডেন্ট/নন-রেসিডেন্ট প্রশিক্ষণার্থীদের মাসিক পারিতোষিক ভাতার হার ২৫ হাজার টাকা থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৩০ হাজার টাকায় নির্ধারণ করা হলো-যা চলতি বছরের ২৩ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে (তাদের ভাতা) আরও ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হল, যা কার্যকর হবে আগামী ১লা জুলাই থেকে।
প্রজ্ঞাপন পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিলন মিলনায়তনে বৈঠক করেন আন্দোলনকারী ট্রেইনি চিকিৎসকরা। সেখানেই ভাতার হার মেনে নিয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত আসে।
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলেন, সরকারের দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে মঙ্গলবার থেকে কাজে ফিরবো। তবে জুলাই থেকে ৩৫ হাজার টাকা না দেওয়া হলে আমরা আবারও রাস্তায় নামতে বাধ্য হব।
সারাদেশে প্রায় সাত হাজার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে উচ্চতর শিক্ষার পাশাপাশি তারা হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেন। মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার দাবিতে ২০২২ সাল থেকে তারা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তাদের আন্দোলনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে জুলাই মাসে মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়। ওই ভাতা ‘যৌক্তিক নয়’ দাবি করে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন আন্দোলনকারীরা। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবারও ভাতা বাড়ানোর দাবিতে চিকিৎসকরা আন্দোলন শুরু করেন। এরপর দুই দফায় ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করে প্রজ্ঞাপন জারি করলো সরকার।