রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে ২০১২ সালের পর থেকে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলা বন্ধ রেখেছে ভারত-পাকিস্তান। ফলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের মুখোমুখি ম্যাচ হয় কেবল আইসিসি টুর্নামেন্টে এবং এশিয়া কাপে। এ কারণেই এ দুই দলের ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের মাঝে বিরাজ করে টানটান উত্তেজনা। ক্রিকেটপ্রেমীদের এমনই উত্তেজনায় ভাসাতে আজ মাঠে নামছে ভারত-পাকিস্তান।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে একে অপরের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত-পাকিস্তান। দুই দলের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। এবারের বিশ্বকাপে একটি করে ম্যাচ খেলেছে দুই দলই।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে জয় পেয়েছে ভারত। তবে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে প্নুষথিত হওয়া সেই ম্যাচের পর থেকেই এই ভেন্যুর পিচ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। এখনো বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ হয়েছে নাসাউ স্টেডিয়ামে। এই তিন ম্যাচের দুইটিতেই দলীয় রান ১০০ ছাড়ায়নি। অপরটিতে হয়েছিল ১৩৭। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে রোহিত শর্মাদের ম্যাচটিতে পিচ কেমন হয় তা নিয়েও আছে দর্শকদের আলাদা আগ্রহ।
এদিকে বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত ব্যাকফুটেই আছে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচেই ম্যান ইন গ্রিনরা হেরে গেছে সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। তাই সুপার এইটের পথ সুগম রাখতে হলে আজ ভারতের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প নেই বাবর আজমদের। তবে জয়ের পথে বেশ বাঁধা উতরাতে হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। কেননা এটিই হতে চলেছে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে বাবরদের প্রথম ম্যাচ। অপরদিকে বিশ্বকাপের শুরু থেকেই নিউ ইয়র্কেই আছে ভারত।
এদিকে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়-পরাজয়ের হিসেবেও পিছিয়ে আছে পাকিস্তানই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত সাতবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এসব ম্যাচের ৫টিতেই জয় পেয়েছে ভারত, একটিতে জয় পেয়েছে পাকিস্তান, বাকি একটি ম্যাচ হয়েছে ড্র।
২০০৭ সালে উদ্বোধনী আসরে দুই দলের প্রথম ম্যাচটি ড্র হলেও পরে ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল ভারত। এরপর ২০১২, ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের আসরেও জয় পেয়েছে ভারতই। পাকিস্তানের একমাত্র জয়টি এসেছিল ২০২১ সালে। সেবার বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের জুটিতে ১০ উইকেটের জয় পেয়েছিল ম্যান ইন গ্রিনরা। তবে সবশেষ ২০২২ বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সে ভারত জিতে নিয়েছিল ম্যাচটি। সেই জয়ের ধারা ভারত এবারও ধরে রাখবে নাকি পাকিস্তান নিজেদের জয়ের সংখ্যাটা আরেকটু এগিয়ে নিবে তাই দেখার অপেক্ষায় এখন ক্রিকেটপ্রেমীরা।