আলিবাবার সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চীনা ধনকুবের জ্যাক মার বিরুদ্ধে চীনের শাসক গোষ্ঠীর হয়ে ভিন্নমত দমনে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করেছে, জ্যাক মা চীনা সরকারের পক্ষে একজন নির্বাসিত ব্যবসায়ীকে চাপে ফেলার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।
প্রতিবেদনে ওই ব্যবসায়ীকে ‘এইচ’ নামে উল্লেখ করা হয়েছে, যিনি বর্তমানে ফ্রান্সে অবস্থান করছেন। চীনের বিচারে তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্য চীন ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করেছে এবং তাঁর বোনকেও গ্রেপ্তার করেছে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে জ্যাক মা ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে ওই ব্যবসায়ীকে দেশে ফিরে আসার পরামর্শ দেন।
জ্যাক মার ওই ফোনকলের ট্রান্সক্রিপ্ট এখন ফরাসি আদালতের নথিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কলটিতে দেখা গেছে, জ্যাক মা ব্যবসায়ী এইচ-কে বলেছেন, “চীন সরকার সান লিজুনের বিচার চায়। আপনি সহযোগিতা করলে আপনার সমস্যা দূর হবে, না হলে ফাঁসির দড়ি শক্ত হবে।”
সান লিজুন চীনের সাবেক উপ-নিরাপত্তামন্ত্রী এবং দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে বিচারের মুখোমুখি। গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণে বলা হয়, সানের মতো জ্যাক মা-ও শি জিনপিংয়ের শাসনের বিরূপ অবস্থানে পড়েছিলেন, যার ফলশ্রুতিতে ২০২০ সালে তাঁকে ২.৮ বিলিয়ন ডলার জরিমানা গুণতে হয়।
চীনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভিন্নমত দমন নিয়ে বারবার উদ্বেগ উঠলেও বেইজিং এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। যুক্তরাজ্যে চীনা দূতাবাস এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এদিকে, জ্যাক মাও গার্ডিয়ানের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি।