ভুয়া কাগজপত্রে হাইকোর্টে ডিভিশনে রিট মামলা দায়ের করে চাকরি খোয়ালেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) ৩৭ জন মাস্টাররোল কর্মচারী। কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব সানজিদা বেগম স্বাক্ষরীত এক অফিস আদেশে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
আজ সোমবার (১ এপ্রিল) থেকে তাদের অব্যাহতির এই আদেশ কার্যকর হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কর্পোরেশনজুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।
চাকরিচ্যুতরা হলেন কর্পোরেশনের কঞ্জারভেন্সি বিভাগের স্প্রে—মান মো. বাচ্চু শেখ, মো. আলাউদ্দিন, মো. নিকমল মল্লিক, মো. মনিরুজ্জামান, মো. কুদ্দুস শেখ, মো. লিয়াকত শেখ, মো. আক্কাস, মো. মুজিবর ও মো. বাবুল হাওলাদার। পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. বেল্লাল শেখ, প্রলাদ, রুস্তম খা, মমতাজ বেগম, মো. জাকারিয়া হোসেন, খান মনিরুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. শহিদুল ইসলাম ও মনিরুল শেখ। অফিস সহয়ক আজিজুল শিকদার ও শ্রমিক কালাম ফকির। পূর্ত বিভাগের ক্লিনার মো. কোরবান আলী, মো. শাহজাহান, মো. ইউসুফ হাওলাদার, আশরাফুল ইসলাম, মো. জাফর, খান ইসমাইল হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম, মো. নাসির, মোজাম গাজী, মোতাবেল আলী ও হেলপার আইয়ুব আলী। বিদ্যুৎ শাখার সোনা দাস। নিরাপত্তা শাখার নিরাপত্তা প্রহরী রাসেল বিশ্বাস, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান শেখ, নাসির উদ্দিন ও শেখ আবু জাফর।
কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, চাকরি স্থায়ীকরণে গতবছর ২০ মার্চ কর্পোরেশনের কঞ্জারভেন্সি বিভাগের স্প্রে-মান মো. বাচ্চু শেখের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে ডিভিশনে রিট মামলা দায়ের হয়। রিট মামলার ওকালতনামায় ৩৭ জন মাস্টাররোল কর্মচারী স্বাক্ষর করেন। মামলার আরজির কপিতে ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বরের সা—১/১৪/১৩৪০/১১৫৭ নং স্মারক ব্যবহার করা হয়। যা কেসিসি কর্তৃক ইস্যুকৃত অন্য একটি অফিস আদেশের স্মারক। এছাড়া স্মারক পত্রের শেষে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও নথি উপস্থাপন কারীর স্বাক্ষরও স্কানিং করে বসানো হয়।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব সানজিদা বেগম দেশ রূপান্তরকে বলেন, প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে ১৪৩৪৮/২৩ নং রিট মামলা দায়ের করেন তারা। রিট মামলার ওকালতনামায় ৩৭ জনই স্বাক্ষর করেন। মামলায় ভুয়া কাগজপত্র, প্যাড ও দলিলাদী ব্যবহার করা হয়েছে। যার কারণে কর্পোরেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
সচিব আরও জানান, মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক মাস্টাররোলের (নো—ওয়ার্ক—নো—পে) চাকরি হতে তাদের অব্যাহতি প্রদানের নির্দেশনা দেন। এছাড়া কেসিসির আইন উপদেষ্টাও একই মতামত প্রদান করেন। সেকারণে তাদেরকে আজ সোমবার অপরাহ্ন থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন হোসের দেশ রূপান্তরকে বলেন, তারসহ অনেকের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। অথচ যাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে তারা কিছুই জানে না। সুতরাং কাজটি তারা ঠিক করেনি বলে তার অভিমত।