মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ফেরি উল্টে যাওয়ার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে বেঁচে যাওয়া যাত্রী, ঘাট সংশ্লিষ্ট লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস থেকে ভিন্ন তথ্য জানানো হয়েছে।
দুর্ঘটনায় পড়া ফেরি শাহ আমানত ঘাটে ভেড়ার আগেই পানি উঠতে শুরু করেছিলো বলে জানিয়েছেন বেঁচে যাওয়া যাত্রী এস এম সুজন।
তিনি বলেন, ‘আমি যশোর থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম। সকালে শাহ আমানত ফেরিতে উঠি। ফেরি যখন মাঝ নদীতে তখনই কিছুটা কাত হয়ে যায়। ঘাটে আসার আগেই ফেরিতে পানি উঠছিলো। যখন ঘাটে পৌঁছায় তখন দুই থেকে তিনটি গাড়ি মাত্র নামছে। এরপরই আমার মোটরসাইকেল, কাভার্ডভ্যান ও অনেকগুলো ট্রাক ডুবে যায়। মোটরসাইকেল ছেড়ে দিয়ে আমি লাফ দেই। পরে কষ্ট করে কনোরকম উপরে উঠি।’
বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিভাগের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা বলেন, ‘ফেরিতে একটি সেকশন দিয়ে পানি বের হয়। সেটা দিয়ে হয়তো ঠিক মতো পানি বের হতে পারেনি। এই কারণে ফেরি উল্টে যেতে পারে। এছাড়া, লোড-আনলোডের কারণেও এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
এদিকে, ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, অতিরিক্ত লোড নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দেওয়ার সময় ফেরিটি ডুবো ডুবো অবস্থায় ছিলো। পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে নৌঙর করার কিছুক্ষণ পরেই উল্টে যায়।
উল্লেখ্য, সকাল পৌনে ১০টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে শাহ আমানত নামের ফেরিটি উল্টে যায়। এ ঘটনায় বেশ কিছু গাড়ি ডুবে গেছে। এখন পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ১১টি গাড়ি শনাক্ত হয়েছে। মাত্র একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। উল্টে যাওয়া ফেরি ও ডুবে যাওয়া গাড়িগুলো উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।