গত মৌসুমে অপ্রতিরোধ্য ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। দাপটের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা জিতেছে তারা। কিন্তু নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি রিয়াল মাদ্রিদ। লিগে দু’বারের মোকাবিলায় দু’বারই দিয়েগো সিমিওনির দলের কাছে হেরেছিল তারা। প্রতিশোধের আবহে আজ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে মৌসুমের প্রথম মাদ্রিদ ডার্বি।
লিগে রিয়াল সর্বশেষ হারের স্বাদ নিয়েছিল অ্যাতলেটিকোর কাছে। সেটাও এক বছরের বেশি হয়ে গেছে। এর পর থেকে লা লিগায় টানা ৩৯ ম্যাচ অপরাজিত কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। লিগের বাইরেও সর্বশেষ হেরেছিল তারা অ্যাতলেটিকোর কাছেই। গত জানুয়ারিতে কোপা দলে রের শেষ ষোলো থেকে তাদের ছিটকে দিয়েছিল সিমিওনির শিষ্যরাই। ক্যালেন্ডার ইয়ারে এটাই রিয়ালের একমাত্র হার।
তবে এমন প্রতিশোধের ম্যাচে ফরাসি সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে পাচ্ছে না রিয়াল। গত সপ্তাহে আলাভেসের বিপক্ষে ম্যাচে ঊরুতে চোট পেয়ে তিন সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন তিনি। তার পরও রিয়ালের আক্রমণভাগে তারকার কমতি নেই। তিন ব্রাজিলিয়ান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো এবং এনড্রিককে দিয়ে ফরোয়ার্ড লাইন সাজাচ্ছেন রিয়াল বস। অবশ্য জুড বেলিংহাম চোট কাটিয়ে ওঠায় ভিন্ন পরিকল্পনারও কথাও শোনা যাচ্ছে। এনড্রিককে বেঞ্চে বসিয়ে বেলিংহামকে আক্রমণভাগে তুলে আনতে পারেন কোচ। সে ক্ষেত্রে লুকা মডরিচকে হয়তো মাঝমাঠে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে।
অবশ্য আনচেলত্তির ভাবনা অন্য জায়গায়। অ্যাতলেটিকোর সমর্থকদের সব সময়ের টার্গেট হলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এরই মধ্যে অনলাইনে তাঁকে বর্ণবাদী আক্রমণ শুরু করে দিয়েছেন তারা। সে যাই হোক, রিয়ালের তারকা খচিত আক্রমণভাগের সঙ্গে অ্যাতলেটিকোর লড়াইটা বেশ জমবে। কারণ চলতি মৌসুমে সিমিওনির দলের রক্ষণ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করেছে। গত ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে তারা কোনো গোল হজম করেনি। আর আক্রমণভাগে আর্জেন্টাইন জুলিয়ান আলভারেজ যোগ দেওয়ায় তাদের শক্তি বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে একবারে ৯০ মিনিটে জয়সূচক গোল করে দলকে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন আলভারেজ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ পাঁচ ম্যাচে এটি তাদের চতুর্থ জয়।
লা লিগার শুরুটা রিয়ালের তেমন ভালো হয়নি। প্রথম তিন ম্যাচের দুটি ড্র করে বসেছিল তারা। তবে এর পর থেকে আবার দারুণ ফর্মে ফিরে এসেছে তারা। পরের পাঁচ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে রিয়াল। লিগে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদও অপরাজিত। একটি ড্র বেশি থাকায় রিয়ালের চেয়ে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় স্থানে তারা।