বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) হাজির হয়েছিল ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা। রোববার ৮ সেপ্টেম্বর মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে একাডেমি ভবনের সামনে ৬৪ জেলার এই ক্রিকেটাররা ব্যানার নিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় বোর্ডের নতুন নেতৃত্বের কাছে ১৬ দফা দাবি পেশ করেন তারা। ক্রিকেটারদের বেশির ভাগ দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিসিবিও।
দাবিগুলোর ভেতর ছিল- ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যালেন্ডার প্রকাশ, জাতীয় ক্রিকেট লিগের দলগুলোর দ্বিতীয় দল রাখা। ঢাকা বিভাগের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট লিগে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি-তিন সংস্করণেরই টুর্নামেন্ট নিয়মিত আয়োজন। প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে তিন সংস্করণের লিগসহ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের সেরা ৩০ জন খেলোয়াড়সহ ৯০ জন খেলোয়াড়কে বেতনের আওতায় আনার বিষয়টিও আছে দাবিদাওয়ার মধ্যে।
এ ছাড়া ঢাকা লিগের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করার ক্ষেত্রে ক্লাবগুলোকে আরও পেশাদার হওয়ার কথা বলেছেন ক্রিকেটাররা। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লিগের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজন, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ক্রিকেটের চূড়ান্ত পর্বে তিন দিনের ক্রিকেট ম্যাচ চালু করা, আম্পায়ারিংয়ের মান উন্নয়ন ও ভালো উইকেট নিশ্চিত করা, দেশের প্রত্যেক জেলায় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি লিগ ও অনুশীলনের সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করার কথাও বলেছেন ক্রিকেটাররা।
এছাড়া ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াব) ঢেলে সাজানোর দাবিও করেন ক্রিকেটাররা। প্রথম বিভাগ লিগের ক্রিকেটার আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা চাই কোয়াবকে নতুন করে পুনর্গঠন করা হোক। এই কোয়াব আসলে ক্রিকেটারদের অনেক কিছুই জানে না। আমাদের সঙ্গে কখনো কথাও বলেনি। আমরা যখন আমাদের সমস্যাগুলো কোয়াবকে জানিয়ে এসেছি, তারা কোনো উদ্যোগ নিত না। আমরা ৬৪ জেলার যারা এসেছি, সবার একই দাবি, কোয়াব পুনর্গঠন করা হোক।’
ক্রিকেটাদের বেশির ভাগ দাবিকে যৌক্তিক মনে করেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ‘ক্রিকেট বোর্ড কী করলে আমার লাভ হবে বা তোমার লাভ হবে, সেটা নয়…কী করলে ক্রিকেটের লাভ হবে, এখন সেটা দেখা দরকার। সেটার জন্য যা যা করা দরকার, ক্রিকেট বোর্ড সামর্থ্য অনুযায়ী সেই জিনিসটা করবে।’
জেলা ক্রিকেট নিয়ে তিনি বলেন, জেলা ক্রিকেট চালু করা, জেলা পর্যায়ে একটা উইকেট থাকা শুরু করে প্লেয়ারদের ওয়েলফেরার প্রতিযোগিতা বাড়ানোর কথা যদি বলি, সিস্টেমেটিক্যালি সবখানে যেন ফেয়ারলি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ট্যালেন্ট আইডেন্টিফিকেশনের জন্য সবাই যেন সমান সুযোগ পায়, এসব ব্যাপার অবশ্যই ক্রিকেট বোর্ড দেখবে। আমরাও চোখ রাখব।এই দাবিগুলো নিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ দেশে ফিরলে তার সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানিয়েছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। সব দাবি মেনে নিতে না পারলেও চেষ্টা করার কথা জানান তিনি।