বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরে আছেন লিওনেল মেসি। কারো চোখে জল, কারো চিৎকারে প্রকম্পিত হচ্ছে চারপাশ।
২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার সমর্থকদের হৃদয়ে গেঁথে থাকবে নিশ্চিতভাবেই। একটি বিশ্বকাপের জন্য তাদের অপেক্ষা ছিল ৩৬ বছরের।
ওই অপেক্ষার ইতি ঘটেছে কাতার বিশ্বকাপে। এরপর তাদের আনন্দও ছিল চোখে পড়ার মতো। ফুটবলাররাও ছিলেন ভীষণ আবেগতাড়িত। ওরকম মুহূর্ত আর কখনোই আসবে না বলে মনে করেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। যদিও আরও একবার আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতার আশা তার।
আমেরিকা টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কিছু আর কখনোই দেখবো না, এই বিশ্বকাপের জেতার পর যা দেখেছি। মানুষ অনেক বেশি আগ্রহী ও অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করছিল আবার শিরোপা উদযাপনের জন্য। এটা ছিল পাগলাটে। পাঁচ মিলিন মানুষ…। ’
‘এমনকি আমরা যদি আবার চ্যাম্পিয়নও হয়ে যাই। আমার মনে হয় না মানুষ এ ধরনের অভিজ্ঞতা আর পাবে। আমি আশা করি আবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবো। আমার বিশ্বাস আর্জেন্টিনা একমাত্র দল যেকোনো খেলায়, টানা তিনটি ফাইনাল খেলেছে। কিন্তু এই দলটা সমালোচিত হয়েছে অফুটবলীয় কারণেও। ’
লিওনেল মেসির বয়স হয়ে গেছে ৩৬ বছর। তিনি পরের বিশ্বকাপে খেলবেন কি না এ নিয়েও আছে অনেক অনিশ্চয়তা। এ সাক্ষাৎকারে জানতে চাওয়া হলেও মেসির জবাব ছিল ‘জানি না। ’ তবে ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনাল হারের ক্ষত ২০২২ সালে মুছে গেছে বলে মনে করেন আলবিসেলেস্তেদের অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বকাপ ফাইনাল হেরে যাওয়ার কাঁটা থেকে মুক্তি পেয়েছি। অনেক মানুষই বলেছে তারা আমাকে বিশ্বকাপ জিততে দেখতে চায়, এমনকি আমার সতীর্থরাও। এটা খুব সুন্দর ব্যাপার, আমি ক্যারিয়ারজুড়ে পাওয়া তাদের ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞ। আমার স্বপ্ন ছিল নিউওয়েলসের হয়ে খেলা। আমি স্বপ্নের চেয়েও বেশি কিছু পেয়েছি। ’
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে থাকা নিয়ে মেসি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে থাকা, তাদের সঙ্গে সময় কাটানো, আমি এই মুহূর্তগুলোর অনেক মূল্য দেই। কারণ আমি জানি অনেক অনেক কম সময় বাকি আছে এসব শেষ হওয়ার। আমি তাদের মিস করবো। ’