বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকার চায়না বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের দিগরাজ বাজারের বাসিন্দা মো. মঈনউদ্দীন শেখের ছেলে নাইম শেখ (১৭) ফুটবল খেলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে তাকে আওয়ামী লীগ নেতা সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারদারের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অপর গ্রুপের লোকজন সেখানে জড়ো হলে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় গ্রপের রকিবুল হাওলাদার (২৭), আলম হাওলাদার (৩৫), লুৎফর শেখ (৫৫), নাইম শেখ (১৭) ও আজিজুল হাওলাদার (৪৭) আহত হন। আহত ৫ জনকে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তির পর রকিবুল হাওলাদার ও আলম হাওলাদার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় জানান হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম। আহতরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ইকরাম ইজারদার বলেন, দিগরাজ বাজারের মঈনউদ্দীন শেখ পূর্ব শত্রতার জের ধরে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দায় চাপাচ্ছেন।
অন্যদিকে মো. মঈনউদ্দীন শেখ বলেন, ইকরাম ইজারদার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজনকে মারপিট করে এলাকা ছাড়া করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার ছেলেকে তার ক্যাডার বাহিনী কুপিয়ে আহত করার পর এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর শুনে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।