সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশনে ক্রুটি ধরা পড়েছে। দু’বার পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেছেন তিনি। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কাজ করে তৃতীয় পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
ব্যাটিং-বোলিং অনেক কিছু নিয়ে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন সাকিব। সালাউদ্দিন এখন জাতীয় দলের সহকারী কোচ। অনলাইনে দেশি এই কোচের অধীনে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কাজ করছেন বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার সাকিব।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী, অ্যাকশন ত্রুটিমুক্ত প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত আইসিসির স্বীকৃত ল্যাবে পরীক্ষা দিয়ে যেতে পারবেন সাকিব। তবে ত্রুটিমুক্ত হয়ে ক্রিকেটে ফিরে পরের দুই বছরের মধ্যে পুনরায় অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন আসলে এক বছর নিষিদ্ধ হবেন তিনি। পরীক্ষায় পাস না করা পর্যন্ত অবশ্য নিষেধাজ্ঞায় থাকতে হবে তার।
এখন প্রশ্ন হলো- দীর্ঘ ১৮ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পর সাকিবের বোলিং অ্যাকশন কেন ক্রুটিপূর্ণ ধরা পড়ল। এতো বছর কী তিনি ওই ক্রুটিপূর্ণ অ্যাকশনে বোলিং করেছেন? এ বিষয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় এক কোচ জানিয়েছেন, ইনজুরির কারণে আঙুলে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে সাকিবের। এরপর কিছু ডেলিভারি জোরে দেওয়ার সময় তার কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকছে।
তিনি জানান, ২০১৮ সালে আঙুলে অস্ত্রোপচার হয় সাকিবের। এরপর আঙুল ফোলা থাকায় এবং ব্যথার কারণে স্বাভাবিক বোলিং করতে সমস্যায় পড়ে সাকিব। জোরে ডেলিভারিগুলো দেওয়ার সময় তার কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি সম্প্রসারণ হয়েছে।
বিসিবির এক কোচ নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘সাকিব পরীক্ষা দিতে বেশি তাড়াহুড়ো করেছে। ইংল্যান্ড বা দুবাইয়ে কোনো একজন কোচের অধীনে ট্রেনিং করে চেন্নাইয়ের ল্যাবে গেলে সমস্যা হতো না।’ অপর এক কোচ বলেন, ‘সাকিব তো দেশে ফিরতে পারছে না। আমাদের সঙ্গে সাত দিন কাজ করতে পারলেই অ্যাকশন ঠিক হয়ে যেত।’