রপ্তানিমুখী খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া এবং নতুন শিল্পে জ্বালানির নিশ্চয়তাসহ টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট খাতে সমস্যা নিরসনে ১৪ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে দি ইন্সটিটিউশন অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস্টস (আইটিইটি)। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রাক-বাজেট আলোচনা উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় আইটিইটির সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার এনায়েত হোসেন বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে সম্ভাবনাময় টেক্সটাইল খাতে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন সরকার উৎপাদনমুখী শিল্পে যে কোনো পরিমাণ বিনিয়োগে প্রশ্ন ছাড়াই অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছিল। সে সময় তার সুফলও পাওয়া গিয়েছিল। শিল্পে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ হয়েছিল। এছাড়া কালো বা অপ্রদর্শিত টাকা শিল্পে বিনিয়োগের ফলে টাকা পাচারকে অনুৎসাহিত করা গেছে। আসন্ন বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ শিল্প ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুবিধা প্রদান করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এই খাতের সমস্যা নিরসনে ১৪ দফা প্রস্তাবনা দিয়ে বলা হয়, নতুন শিল্প স্থাপনে গ্যাসের পূর্ব মূল্য ফিরিয়ে আনা, পোশাক রপ্তানিতে শুল্কহার কমানো, বস্ত্র খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সঠিকতা যাচাই, খুচরা যন্ত্রাংশ ও ডাইং কেমিক্যাল আমদানিতে শুল্ক কমানো, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নিরসনে ৫০ একর নতুন জমি বরাদ্দ দেওয়া, তুলা ডাম্পিংয়ের জন্য ফ্রি-জোন প্রতিষ্ঠা, শিল্পের জন্য বাজেটে বিশেষ প্রণোদনা রাখা, বন্ডেড ওয়্যারহাউজ নীতিমালার পরিবর্তন, শিল্প কারখানায় সোলার সিস্টেম স্থাপনে কর কমানো, বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে কমার্শিয়াল উইংয়ে ন্যূনতম একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেওয়া এবং সরকারি উদ্যোগে ডাইস-ক্যামিক্যাল ও মেশিন ম্যানুফেকচারিং প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং নতুন কর্মস্থান সৃষ্টি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইটিইটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এহসানুল করিম কায়সার, যুগ্ন আহ্বায়ক এটিএম শামসুদ্দিন খান, সদস্য সাইদুর রহমান, রৌশন জামিল টিপু প্রমুখ।