ইসরায়েলের তেল আবিবে ছুরিকাঘাত ও বন্দুক হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এ সময় দুই হামলাকারীও মারা গেছে। জাফা এলাকায় হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঠিক আগে মঙ্গলবার রাতে দেশটিতে এ ঘটনা ঘটে। তেল আবিবের ইচিলভ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ এই খবর জানিয়েছে।
এ ঘটনাকে কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলে ঘটা সবচেয়ে প্রাণঘাতী ‘সন্ত্রাসী’ হামলা বলে বর্ণনা করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনের কাছে রাইফেল ও অপরজনের কাছে ছুরি ছিল বলে জানা গেছে। তারা তেল আবিব লাইট ট্রেনে বেসামরিকদের ওপর আক্রমণ করে, তারপর ট্রেন থেকে নেমে হাঁটতে হাঁটতে নগরীর জেরুজালেম স্ট্রিটে বিভিন্ন লোকজনের ওপর গুলি ছোড়ে ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এরই এক পর্যায়ে নগর কর্তৃপক্ষের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও বেসামরিক ইসরায়েলিরা তাদের গুলি করে হত্যা করে, জানিয়েছে পুলিশ।
দুই হামলাকারীকে মোহাম্মদ খালাফ সাহের রজব ও হাসান মোহম্মদ হাসান তামিমি বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের উভয়েই ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের হেবরন শহরের বাসিন্দা ছিল। আহতদের তেল আবিবের দুটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
পুলিশ বাহিনীর একটি বড় দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। সেখানে আরও কোনো ধরনের হুমকি রয়েছে কিনা তল্লাশি চালাচ্ছে তারা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। ইসরায়েলের পুলিশ কমিশনার দানিয়েল লেভি তেল আবিবের হামলাস্থল পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ হামলার বিষয়ে পুলিশের কাছে আগাম কোনো গোয়েন্দা তথ্য ছিল না।
এক প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াইনেট নিউজকে বলেছেন, আমরা ধারাবাহিক গুলির শব্দ শুনছিলাম। শঙ্কা নিয়ে আমরা বাইরে এসে দেখি, দুই ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে, তারাই হামলা চালাচ্ছিল। এটা তাকিয়ে দেখা খুব কষ্টের ছিল।
এই হামলার পর ইসরায়েলের কট্টরপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালের স্মোট্রিচ সামাজিক মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, তিনি ওই দুই হামলাকারীর পরিবারকে গাজায় নির্বাসনে পাঠাতে ও হেবরনে তাদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।