মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি এবং ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন ইউসুফ পাঠান। এবার তারা রাজনীতির ময়দানে নেমেও সাফল্য পেলেন।
রাজনীতির ময়দানে ইউসুফ নবীন, তিনি বহরমপুর আসনে জিতেছেন আগেরবারের সংসদ সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে হারিয়ে। অন্যদিকে, কীর্তি আজাদ আগে থেকেই আছেন রাজনীতির অঙ্গনে। বিজেপির হয়ে তিনি ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিজেপির বিরোধীতা করতে গিয়ে দল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। যোগ দেন কংগ্রেসে। এবার তিন বিজেপির দিলীপ ঘোষের বিপক্ষে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে জিতেছেন।
জয় পেলেও ইউসুফ ও কীর্তির নির্বাচনী লড়াই সহজ ছিল না। কারণ তাদের প্রতিপক্ষ ছিল কংগ্রেস এবং বিজেপির দুই দাপুটে নেতা। অধীর বহরমপুরের পাঁচবারের সংসদ সদস্য, ফলে সেখানে তার প্রভাবও সর্বজনবিদিত। তাই তার ‘দুর্গ’ দখল করতে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস এমন একজনকে প্রার্থী করেছিল, যিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটের বরোদার বাসিন্দা। তবে প্রাণবন্ত জনসংযোগে ইউসুফ যে ভিন্ন কিছু করতে চলেছেন তারই বার্তা দিয়ে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি জানু রাজনীতিবিদ অধীরকে হারিয়েছেন ৮০ হাজারেরও বেশি ভোটে।