দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উসমান খান সেঞ্চুরি করেছেন। পেসার শরিফুল ইসলাম এবং স্পিনার আলিস আল ইসলাম ও আরাফান দারুণ বোলিং করেছেন। তাদের সমন্বিত পারফরম্যান্সে বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটে-বলে রাজকীয় দিন কাটিয়েছে চট্টগ্রাম কিংস। দুর্বার রাজশাহীকে ব্যাট হাতে বড় লক্ষ্য দিয়েছে। আবার বল হাতে ধসিয়ে ১০৫ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে কিংসরা।
টস জিতে বোলিং নিয়ে দারুণ শুরু করে দুর্বার রাজশাহী। তাসকিন আহমেদ প্রথম ওভারে কিংসের ওপেনার পারভেজ ইমনকে (০) তুলে নেন। পরেই ক্যাচ মিসে ও এলোমেলো বোলিংয়ে মোমেন্টাম হারায় রাজশাহী। জীবন পাওয়া উসমান খান শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন। তার সঙ্গে ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্কের ১২০ রানের জুটিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান তোলে চট্টগ্রাম কিংস। জবাব দিতে নেমে রাজশাহী ১৭.১ ওভারে ১১৪ রানে অলআউট হয়।
আগেও বিপিএলে সেঞ্চুরি পাওয়া ২৯ বছর বয়সী পাকিস্তানি টপ অর্ডার ব্যাটার উসমান ৬২ বলে ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন। টি-২০’র ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলার পথে ১৩টি চার ও ছয়টি ছক্কার শট খেলেন এই ব্যাটার। তার সঙ্গে জুটি গড়া ক্লার্ক খেলেন ২৫ বলে ৪০ রানের ইনিংস। পাঁচটি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কার শট আসে তার ব্যাট থেকে। মোহাম্মদ মিঠুন ১৫ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৮ রান করেন। শেষে ৯ বলে ১৯ রান যোগ করেন আরেক পাকিস্তানি ব্যাটার হায়দার আলী।
জবাব দিতে নামা রাজশাহী ৯ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান জিসান আলমের জায়গায় প্রথমবার একাদশে জায়গা পাওয়া সাব্বির হোসেন। মোহাম্মদ হারিস ও এনামুল হক ৩২ রানের ছোট্ট একটা জুটি দেন। পাকিস্তানি ব্যাটার আউট হন ১৫ বলে ৩২ রান করে। তিনি তিনটি ছক্কার সঙ্গে দুই চারের শট মারেন। ৪২ রানে রাজশাহী দ্বিতীয় উইকেট হারায়। এরপরই শুরু হয় ধস। এনামুল (৮), ইয়াসির রাব্বি (১৬) ও আকবর আলী (১৮) ফিরলে বড় হারের পথে পা বাড়ায় রাজশাহী। শেষ পর্যন্ত বড় হারই সঙ্গী হয়েছে বিপিএলের ঢাকা পর্বে তিন ম্যাচের একটিতে জয় পাওয়া তাসকিন-এনামুলের দলটি।
গত ম্যাচে একাই ৭ উইকেট তুলে নেওয়া পেসার তাসকিন আহমেদ এদিনও ভালো বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। তবে রাজশাহীর পেসার শফিউল ৩ ওভারে ৪৬ রান দিয়েছেন। হাসান মুরাদ ৪ ওভারে ৪৫ রান খেয়েছেন। রায়ান বার্ল ৩ ওভারে দিয়েছেন ৩৭। ম্যাচে তিনটি ক্যাচ ফেলে ম্যাচে ফেরার সুযোগ হারায় দলটি। চট্টগ্রামে খেলা স্পিনার আল আল ইসলাম ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। বাঁ-হাতি স্পিনার আরাফাত সানি ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ও পাকিস্তানের ডানহাতি পেসার ওয়াসিম জুনিয়র ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।