পবিত্র কোরআনের প্রত্যেকটি সুরার আলাদা তাৎপর্য, মাহাত্ম্য ও ফজিলত আছে। এমনকি একেক বাক্যের আংশিক তেলাওয়াতেও বিস্ময়কর উপকার দৃশ্যমান হয়। এখানে এমন একটি সুরা সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে, যে সুরাটি মাগরিবের পর নিয়মিত পড়লে দারিদ্র্য কাছেও ঘেঁষতে পারবে না বলে হাদিস রয়েছে। সুরাটির নাম সুরা আল ওয়াকিয়া। পবিত্র কোরআনের ৫৬তম সুরা এটি। আয়াতসংখ্যা ৯৬। মক্কায় অবতীর্ণ সুরাটির রুকু আছে তিনটি।
প্রতিদিন মাগরিবের নামাজশেষে সুরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াতের তাগিদ দেওয়া হয়েছে হাদিসে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রতিরাতে সুরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করবে তার ওপর অভাব আসবে না। (বায়হাকি: ২৪৯৭, তাফসিরে রুহুল মাআনি: ২/১২৮)
সুরা ওয়াকিয়া পাঠের বিশেষ একটি শিক্ষা পাওয়া যায় আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর সঙ্গে আমিরুল মুমিনিনের বিশেষ কথোপকথন থেকে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) যখন অন্তিম শয্যায় শায়িত ছিলেন তখন ওসমান (রা.) তাঁকে দেখতে গিয়ে বলেন, আপনার অসুখটা কী? ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমার পাপ আমার অসুখ। ওসমান (রা.) বলেন, আপনার বাসনা কী? তিনি বলেন, আমার পালনকর্তার রহমত কামনা করি। তিনি বলেন, আমি সরকারি বায়তুল মাল থেকে কোনো উপঢৌকনের ব্যবস্থা করে দেব, যা আপনার এবং আপনার কন্যাদের উপকারে আসবে? ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, এর কোনো প্রয়োজন নেই। আমি আমার কন্যাদের সুরা ওয়াকিয়া শিক্ষা দিয়েছি। আমি রাসুল (স.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করে, অভাব তাকে কখনো স্পর্শ করবে না। (তাফসিরে জালালাইন আরবি-বাংলা: ৬/৩৫৩)
আল্লাহ তাআলা সবাইকে নিয়মিত সুরা ওয়াকিয়া পড়ার তাওফিক দান করুন। উভয়জাহানে এই সুরা পাঠের উপকার দান করুন। আমিন।