লাল পাহাড়ির দেশে যা’ গানের স্রষ্টা অরুণ চক্রবর্তী মারা গেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে পশ্চিমবাংলার হুগলি জেলার চুঁচুড়ার ফার্ম সাইড রোডের বাড়িতে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছন পুত্রবধু সুদেষ্ণা চক্রবর্তী।
সুদেষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “কলকাতার মোহরকুঞ্জে জঙ্গল মহল উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। একটু ঠান্ডা লেগেছিল। ফুসফুসে সমস্যা ছিল করোনার পর থেকে। হঠাৎ করে অসুস্থতা বোধ করেন। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা করি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে ডাকা হয়। পরে স্থানীয় চিকিৎসক এসে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।’
প্রয়াত অরুণ চক্রবর্তীর মরদেহ বাড়ি থেকে চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মুক্তমঞ্চে রাখা হয়। সেখানে গিয়েই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। পরে শ্যামবাবুর ঘাটে কবির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। চুঁচুড়া ফার্ম সাইড রোডে অরুণের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতিরা ছিল।
১৯৪৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্ম কলকাতার বাগবাজারে। ১৯৯০ সাল থেকে চুঁচুড়ায় থাকতেন তিনি। পেশায় তিনি ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। তবে একসময় সরকারি চাকুরে অরুণ কুমার চক্রবর্তী পুরোদস্তুর কবি। লিখতে, পড়তে ও বলতে ভালোবাসতেন তিনি। শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাস করেছিলেন অরুণ। তাঁকে পরিচিতি ও খ্যাতি এনে দিয়েছিল ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা, রাঙা মাটির দেশে যা’; ওই কবিতা পরে গান হয়ে দুই বাংলার সংগীতানুরাগীদের মুখে মুখে ফিরেছে। বাংলার লোকসংস্কৃতি নিয়ে চর্চা করতেন অরুণ। ঘুরতেন পাহাড়, জঙ্গল ও আদিবাসী এলাকায়। ‘লাল পাহাড়ের’ সুরেই অমর হয়ে থাকবেন কবি।