লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বড় হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর দাহিইয়ের নামের এলাকার একটি ভবনে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিয়ে দুইবার হামলা চালায় তারা। এতে অন্তত ৫ শিশু নিহতসহ বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে ওই ভবনে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কোনো উচ্চপদস্থ নেতা ছিলেন। যাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা গেছে বৈরুতের একটি উঁচু ভবন হামলার পর ধসে পড়েছে। এছাড়া বহু গাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলার পর পর সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন সাধারণ মানুষ।
এ নিয়ে গত এক বছরের মধ্যে দখলদার ইসরায়েল লেবাননের রাজধানীতে তৃতীয়বারের মতো হামলা চালিয়েছে। এরমধ্যে জানুয়ারিতে বৈরুতে হামলা চালিয়ে হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরোরি এবং জুলাইয়ে হিজবুল্লাহর সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ সুকরকে হত্যা করে তারা।
আজ শুক্রবার যে স্থানে হামলা হয়েছে এটি হিজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর উচ্চপদস্থ কমান্ডাররা সেখানে থাকেন।
এরআগে শুক্রবার সকালে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে লেবাননের সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তারবিহীন যোগাযোগের যন্ত্র পেজার ও রেডিও বিস্ফোরণের পর দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এই হামলা চালায় তারা।
সর্বশেষ এই হামলাকে গত প্রায় এক বছরের মধ্যে লেবাননে চালানো ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর সামনে আসেনি। এছাড়া উত্তেজনা ও সংঘাত আরও না বাড়িয়ে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। কিন্তু এরপর বিকেলেই আবার লেবাননের রাজধানীতে হামলা চালিয়েছে তারা। ধারণা করা হচ্ছে, বৈরুতের এই সর্বশেষ হামলা এই অঞ্চলে বড় সংঘাত তৈরি করতে পারে।