ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দেশটির সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠী মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রার্থী ছিলেন মোট ৭৮ জন। বিভিন্ন দলের এসব প্রার্থীর মধ্যে ১৫ জন জয় পেয়েছেন। জয়ী মুসলিম প্রার্থীদের মধ্যে ভারতের জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানও রয়েছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মুসলিম প্রার্থী ১১৫ জন থাকলেও এবার সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। খবর দ্য হিন্দুর।
জয়ী ১৫ প্রার্থীর অন্যতম ভারতের সাবেক ক্রিকেট তারকা ইউসুফ পাঠান। তিনি অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বহরমপুর আসনের প্রার্থী হয়েছিলেন। এই আসনটি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রার্থী ছয়বারের এমপি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু রাজনীতিতে নবাগত ইউসুফ পাঠান অভিজ্ঞ রাজনীতিক অধীর রঞ্জনকে ৮৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।
উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর আসনে কংগ্রেসের ইমরান মাসুদ জয়ী হয়েছেন। তিনি নিকটতম বিজেপি প্রার্থী রাঘব লখনপালের চেয়ে ৬৪ হাজার ৫৪২ ভোট বেশি পেয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের কাইরানা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির ২৯ বছর বয়সী নারী প্রার্থী ইকরা চৌধুরী। তিনি ভারতীয় জনতা দলের (বিজেপি) প্রার্থী প্রদীপ কুমারকে ৬৯ হাজার ১১৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর আসন থেকে জয়ী সমাজবাদী পার্টির আরেক প্রার্থী আফজাল আনসারি। প্রায় ৫ লাখ ৪০ হাজার ভোট পাওয়া আনসারি এর আগেও এই আসন থেকে লোকসভার সদস্য ছিলেন। অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) দলের নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ৩ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে তাঁর হায়দরাবাদের আসন ধরে রেখেছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বিজেপির মাধবী লতা কমপেল্লা। কেন্দ্রশাসিত লাদাখে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হানিফা জান। তিনি ইন্ডিয়া জোটের সেরিং নামগিয়ালকে পরাজিত করেছেন।
কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লাহ আসনে জয়ী হয়েছেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল রশিদ শেখ। কারাগার থেকে বন্দি অবস্থায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি হারিয়েছেন কাশ্মীরের হেভিওয়েট প্রার্থী ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহকে।
জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ-রাজৌরি আসন থেকে জয়ী হয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রার্থী মিয়া আলতাফ আহমেদ। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে পরাজিত করেছেন। শ্রীনগরের আসন থেকে পাস করেছেন একই দলের প্রার্থী আগা সৈয়দ রুহুল্লাহ মেহেদি। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের রামপুর আসন থেকে জয়ী হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী মহিবুল্লাহ। উত্তরপ্রদেশের সম্বল থেকে জয়ী পেয়েছেন সমাজবাদী পার্টির আরেক প্রার্থী জিয়াউর রহমান।