শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের বাদল চত্বরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৫ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সৃষ্ট এ অগ্নিকাণ্ডে মুদি মনোহরি, ইলেকট্রনিকস,ষ্টেশনারী, রেষ্টুরেন্ট ও ঔষধের এসব দোকানের মালামাল পুড়ে এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা জানিয়েছে। শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের পৃথক দুটি দল,শরণখোলা থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনতা প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় হঠাৎ করে ভারি বৃষ্টি শুরু হলে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সারে দশটার পর শহরের ব্যাস্ততম বাদল চত্বরের (পাঁচ রাস্তার মোড়) একটি বন্ধ ষ্টেশনারী দোকান থেকে আগুন জলে উঠলে মুহুর্তে তা পার্শ্ববর্তী দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে।
নিকটবর্তী শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের একটি দল বাদল চত্বরে পৌছালেও পানির উৎস খুজে না পাওয়ায় তাদের কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়। এসময় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ী ও সাধারণ জনতা উত্তেজিত হয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে পাশ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের আরো একটি দল শরণখোলায় এসে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নিলে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। এর মধ্যেই ১৫ দোকান কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত মুদি দোকানি আঃ রহমান জানান, তার দোকানে থাকা ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল
পুড়ে গেছে। অনুরুপ ক্ষতির শিকার হয়েছেন, মুদি দোকানি ইব্রাহিম হোসেন, লিটন তালুকদার, মনোতোষ, ইলেকট্রনিকস ব্যাবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন, ঔষধ ব্যবসায়ী সাইফুল খান, রেষ্টুরেন্ট মালিক বেলায়েত হোসেন,উৎপল সাহা ও লন্ড্রি দোকানী শহিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
রাতেই শরণখোলা মোরেলগঞ্জ সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহ সহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ,ফায়ার সার্ভিস বাগেরহাটের ডিএডি সাইয়েদুর রহমান চৌধুরী ও শরণখোলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন সহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান খান বলেন,খবর পেয়ে শরণখোলা থানার সকল কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীদের উদ্ধারকৃত মালামাল রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহন করে তারা।
শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ইনচার্জ আকতাব ই আলম বলেন, দূর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় প্রথম দিকে তাদের কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়। পরে তারা কঠোর ধৈর্য্য ও পরিশ্রম দিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। সাখাওয়াত হোসেন এর ইলেকট্রনিক দোকানে বিদ্যূতের সর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে তার ধারনা।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন,অগ্নিকাণ্ডের কারন ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছ।