শান্তিপূর্ণভাবে সীমান্ত পরিস্থিতি সমাধানের ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে যে কোনো সময় পাতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সম্মতি দিয়েছেন যেকোনো সময় লেফটেন্যান্ট কমান্ডার পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আমরা চেষ্টা করছি উচ্চ পর্যায়ে একটি বৈঠক করা যায় কি না। তবে এটি আমাদের রুটিন বৈঠক। এই বৈঠক ওইপারের বিএসএফের সঙ্গেও করি। আর মিয়ানমারের বিজিপির সঙ্গেও করি। এ রুটিন বৈঠকে সীমান্তের সার্বিক নিরাপত্তা, সীমান্তের সার্বিক ম্যানেজমেন্ট ও সীমান্তের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। উভয় পক্ষে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি ঐক্য মধ্যে পৌঁছায় যে কীভাবে সম্মিলিতভাবে আমরা সীমান্তকে নিরাপদ রাখতে পারি।
সোমবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বিওপি পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপির মোবাইল, ইমেইল ও লিখিতভাবে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।
সাকিল আহমেদ, বিজিবি মহাপরিচালক
বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মর্টারশেল ও গুলি এসে পড়ার বিষয়ে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘প্রতিটি ঘটনার বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে তিনি সকাল ১০টা থেকে তুমব্রু, বাইশপাড়ি ও কোনারপাড়া শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বিজিবির বিশেষ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
এসময় মহাপরিচালক বিজিবির সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তিনি অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন ও নির্দেশনা দেন। পরে রেজুপাড়া বিওপিওতে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবির অবস্থান বৃদ্ধি করা হয়েছে। কোনো একজন মিয়ানমারের নাগরিক অনুপ্রবেশকারী যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত টহল জোরদার রাখা হয়েছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ওদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, ‘অনুপ্রবেশ রোধের পাশাপাশি বিজিবি মাদকসহ সকল চোরাচালান রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


