রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও এর আশপাশের এলাকায় শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় চার হাজার জনকে আসামি করা হয়।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর পল্টন, রমনা ও চকবাজার থানায় পৃথক এ তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাগুলোর বাদী পুলিশ।
মামলার এজাহারে কুমিল্লার ঘটনার জেরে পল্টন থানা এলাকায় নাশকতা, ভাঙচুর, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্ত করা হয়েছে চার হাজার ৪০ জনকে। তিন থানার এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পল্টন থানায় অজ্ঞাতনামা ২৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রমনা থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চকবাজার থানায় ৪০ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন পাঁচজন।’
শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজের পর রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে কয়েকশ মুসল্লি মিছিল বের করেন। মিছিলটি পল্টন হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড়ে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল ছোড়েন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্যসহ নয়জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থল থেকে ১৭ জনকে আটক করে পুলিশ।