ভারতশাসিত কাশ্মীরে শেষ হলো বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় ও শেষ দফার ভোট। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৬৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। আগামী ৮ অক্টোবর ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে নির্বাচনে মোদির দল কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছে। স্থানীয় রাজনীতিকরা মনে করছেন, আবারও একটি ঝুলন্ত বিধানসভার দিকে যাচ্ছে কাশ্মীর। শাসন করার জন্য কোনো একক দল বা জোটের যথেষ্ট সমর্থন নেই। তবে ভোটের ফল যাই হোক না কেন কাশ্মীরের শাসন দিল্লির হাতেই থাকবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতীয় রাজনীতি বিশ্লেষক রাশেদ কিদওয়াই বলেন, যেকোনো জোট সরকার কাশ্মীরে স্থিতিশীলতা আনতে পারবে বলে মনে হয় না। সেই হিসেবে আগামী পাঁচ বছর দিল্লি-শ্রীনগরের সম্পর্ক সংঘাতময় দেখতে পাচ্ছি।
২০১৯ সালের আগস্টে কাশ্মীরের স্বতন্ত্র মর্যাদাসংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর এটি প্রথম নির্বাচন। কাশ্মীরে সর্বশেষ ভোট হয়েছিল ২০১৪ সালে।
আজ তৃতীয় দফায় বিধানসভার ৯০টি আসনের মধ্যে এ দফায় ভোট হয় ৪০ আসনে। বিজেপি ৯০টি আসনের বিপরীতে ৬২টিতে নির্বাচন করেছে। বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেস জোট করেছে স্থানীয় জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) সঙ্গে।
কাশ্মীরে পাঁচ লাখের বেশি ভারতীয় সেনার উপস্থিতি রয়েছে। ভোটকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী এলাকায় ছিল কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা। ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় ২৪টিতে ভোট হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভোট হয় ২৬ আসনে। প্রথম দুই রাউন্ডে ভোট পড়ে ৫৫ শতাংশের বেশি।
বারামুল্লা জেলার বাসিন্দা আবদুল রহিম রাহ বলেন, ‘কাশ্মীরের জনগণের মতকে মোদি সরকার গ্রহণ করে না। আমরা রাজনৈতিকভাবে স্বস্তি পেতে ভোট দিয়েছি।’
বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দিয়েছে বাল্মীকি ও গোর্খা সম্প্রদায়। ৭৭ বছর পর ভোট দিল পশ্চিম পাকিস্তানের উদ্বাস্তুরা। দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। বাল্মীকি সম্প্রদায়ের সদস্যরা ভোট দেওয়াকে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ হিসেবে বলে অভিহিত করেছেন। খবর এএফপি ও এএনআইয়ের।