বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর ভাষানটেকের একটি হত্যা মামলায় ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে কেন তাকে ওই মামলায় জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন।
আদালতে শ্যামল দত্তের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাজমুস সাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. হেমায়েত উল্লাহ।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ভাষানটেক থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬৪ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়। এ মামলায় ২৮ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি শ্যামল দত্ত।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বিজয় মিছিল করতে যান ফজলু। সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিরপুর-১৪ নম্বর মোড়ে দিগন্ত ফিলিং স্টেশনের সামনে ফজলুর ওপর গুলি ছোড়া হয়। ওই গুলি কোমরের একপাশে লেগে অপর পাশ দিয়ে বের হয়ে গেলে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। ফজলুকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবুর সঙ্গে সাংবাদিক শ্যামল দত্তকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর এ মামলায় তাকে ৭ দিনের রিমান্ডেও নেওয়া হয়। এরমধ্যে গত সোমবার দুই মামলায় মোজাম্মেল বাবুর জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গণহারে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তথ্যনুযায়ী, এ পর্যন্ত ২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ ধরণের মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ১৩ জন সাংবাদিক বর্তমানে কারাগারে আছেন। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা দায়েরের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।