১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত বলিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘হাম দিল দে চুকে সনম’। এতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন সালমান খান, ঐশ্বরিয়া রায় ও অজয় দেবগন। চলচ্চিত্রে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অজয়ের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই অজয় বুঝতে পারেন, নববধূর মনজুড়ে আছেন প্রেমিক সালমান।
পরে নিজেই নববধূকে নিয়ে বিদেশে পাড়ি দেন অজয়, উদ্দেশ্য- সালমানের সঙ্গে দেখা করানো। নিজের স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রায় ১২ বছর পর যেন ঠিক এই ঘটনার বাস্তব দেখা গেল ভারতের কানপুরে।
তিনমাসের নববধূকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন এক যুবক। চার হাত এক করিয়েছেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে। সম্প্রতি কানপুরের চকেরি থানার অন্তর্গত সানিগওয়ান গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।পাশের গ্রামের
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি পাশের গ্রাম শ্যামনগরের মেয়ে শান্তির সঙ্গে বিয়ে হয় সুজিত ওরফে গোলুর। ধুমধাম করে রীতিনীতি মেনে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সবই ঠিক ছিল, কিন্তু রীতি মেনে বাপেরবাড়ি আসার পর আর স্বামীর কাছে ফিরতে চাননি তিনি।
শান্তিকে বেশ কয়েকবার বাড়ি ফিরিয়ে আনতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন সুজিত। কিন্তু তিনি ফিরতে রাজি হননি। কেন শ্বশুরবাড়ি যেতে চান না তাও প্রথমে বলতে চাননি শান্তি। অনেক চেষ্টার পর তিনি স্বামীর কাছে মুখ খোলেন। জানান তার মনের মানুষের কথা।
বাড়ির লোকেরা কীভাবে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিয়েছেন, তাও স্বামীর কাছে স্পষ্ট করে বলেন তিনি। এছাড়া সেই দিনই প্রথম লখনউয়ের বাসিন্দা রবির কথা সুজিতকে বলেন শান্তি। রবি শান্তির প্রেমিক।
নতুন বউয়ের মুখ থেকে এ কথা শোনার পর সুজিত কষ্ট পেলেও তাদের এক করে দিতে মনস্থির করে ফেলেন। শান্তির বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে রবির খোঁজ শুরু করেন তিনি। তারপর প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দেন।
বানসালির ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর সঙ্গে এই ঘটনার একটা পার্থক্য রয়েছে। চলচ্চিত্রের শেষ মুহূর্তে স্বামীর কাছে ফিরে আসেন নায়িকা, উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন তার ভালোবাসা। শেষে অজয়ের কাছেই ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। শান্তি আর ফিরে আসেননি সুজিতের কাছে, হয়তো উপলব্ধি করতে পারেননি তার ভালোবাসা।