সোমবার থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ৪ দিনের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন। অংশ নিচ্ছে চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অর্ধশত দেশের বড় বড় বিনিয়োগকারীরা। সম্মেলনের পরও নিয়মিত যোগাযোগ রেখে বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেবে সরকার।
আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, মার্কিন শুল্কনীতির কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না দেশের ব্যবসা-বিনিয়োগে।
সম্পদের সীমাবদ্ধতায় শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে দেশি বিনিয়োগ যথেস্ট নয়। গত কয়েকবছর বিদেশি বিনিয়োগ টানতে রোডশো, সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েও সফলতা মেলেনি। উল্টো নিম্নমুখী। শিল্প বিনিয়োগে অনেকেই তাদের প্রতিশ্রুতি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়নের দিকে নেয়নি।
৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে তুলে ধরে বিদেশি বিনিয়োগ টানতে ঢাকায় শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন। বড় বিনিয়োগের সম্ভাবনা পর্যালোচনায় ৬০ জনের প্রতিনিধি পরিদর্শন করবেন চট্টগ্রাম ইপিজেড, মিরসরাই ও জাপানিজ ইকোনমিক জোন।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ‘এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিনিয়োগের একটা পাইপ লাইন তৈরি হবে। এই সম্মেলনে একশটা কোম্পানি এসেছে, এরা সবাই আগ্রহে দেখিয়েছে, এই আগ্রহ থেকে আমাদের বাস্তাবায়নের জন্য আর কী কী করতে হবে সেরকম একটা প্রজেক্ট ওয়ার্কের মতো পাবো। এর ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী ৬ মাস থেকে ১৮ মাসের মধ্যে তাদেরকে বিনিয়োগে নিয়ে আসার চেষ্টা করব।’
বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়ায় জ্বালানি আমদানির সক্ষমতাও বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেশটি থেকে এলএনজি আমদানির সুযোগ খুঁজছে সরকার। এছাড়া ট্রাম্পের শুল্কনীতির পরিবর্তনে দেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক রুপান্তর হবে বলে আশা করেন বিডা চেয়ারম্যান।
আশিক চৌধুরী বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের এই চাপটা একটা বিশাল সুযোগ। আমি মনে করে এর ওপর ভিত্তি করে আমাদের বিনিয়োগ ব্যবস্থার মধ্যে সংস্কারগুলো করে ফেলতে পারব। ওই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমাদের বিনিয়োগে একটা বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব।’
সম্মেলনে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তুলে ধরা হবে বস্ত্র, নবায়যোগ্য জ্বালানি, ওষুধ, কৃষি প্রকিয়াজাত শিল্প, ডিজিটাল ইকোনমির মত খাত।