স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত হারে এমনিতেই বিষণ্ণ ছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার সেই বিষণ্ণতাকে আরও একধাপ বাড়িয়ে তোলার কাজটিও সারে সেই স্কটিশরা। এবার অবশ্য মাঠে নয়, ড্রেসিংরুমে বসে করা জয়োল্লাসে।
হারের দুঃখ নিয়ে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলছিলেন, নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা। সে সময়ই তাকে পড়তে হয় চরম বিব্রতকর মুহূর্তে।
ওমানের প্রেস কনফারেন্স রুম থেকে স্কটল্যান্ডের ড্রেসিংরুমের দূরত্ব খুব বেশি নয়। মাহমুদউল্লাহ যখন গণমাধ্যমের সঙ্গে হারের কারণ নিয়ে কথা বলছিলেন, তখন ড্রেসিংরুমে স্কটল্যান্ডের খেলোয়াড়রা মেতেছিলেন জয়োল্লাসে।
স্কটল্যান্ডের খেলোয়াড়দের হর্ষধ্বনিতে চাপা পড়ে যাচ্ছিলো মাহমুদউল্লাহর কথাও। টাইগার অধিনায়ক বিষয়টি বুঝতে পেরে চুপটি মেরে যান। তাতে সংবাদ সম্মেলন কক্ষেও নেমে আসে পিন পতন নীরবতা।
মাহমুদউল্লাহর অভিব্যক্তি দেখে তখন মনে হচ্ছিল, দাঁতে দাঁত চেপে কোনো মতে বিষয়টি মেনে নিচ্ছেন তিনি। প্রায় ২০ সেকেন্ড মতো থেমে থাকা সংবাদ সম্মেলনে কখনও তিনি ঢেঁকুর গিলছিলেন, কখনও আবার গালে হাত দিয়ে প্রতিপক্ষের উল্লাস বন্ধের অপেক্ষা করছিলেন।
সেই একই ভিডিও নিয়ে মজা করতে ছাড়েনি স্কটল্যান্ড ক্রিকেট দলও। তারা নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সেই ভিডিও আপলোড করে লিখেছে, ‘দুঃখিত! পরেরবার আমরা আরও কম শব্দ করবো।’
বাজে সেই অভিজ্ঞতার পর মাহমুদউল্লাহ যখন আবার কথা বলা শুরু করলেন, হতাশা যেন বড্ড বেশি পেয়ে বসেছিল তাকে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলছিলেন, ‘আসলে আমি খুব হতাশ। হতাশ না হওয়ার মতো কোনো কারণ তো দেখছিও না। ব্যাটিং নিয়ে আমাদের দুর্ভাবনা রয়েই গেল। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের সামনে আরও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে।’
মাহমুদউল্লাহ একরাশ হতাশা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এলেও, রাজ্যের হাসি যেন ফুটেছিল স্কটল্যান্ড অধিনায়ক কাইল কোয়েতজারের মুখে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের পর কোয়েটজারের মুখের চওড়া হাসি অবশ্য অমূলক কিছু নয়।