দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভোটের আগে ও পরে সারাদেশে সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এসময়ে স্বাস্থ্যসেবা চালু রাখার পাশাপাশি যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া এসব প্রতিষ্ঠানকে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানের সই করা এক নোটিশে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এবং এরপর যে কোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৬ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকতে হবে। যে কোনো রোগীকে সরকারি হাসপাতালে রেফার করার ক্ষেত্রে রোগীকে অবশ্যই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে যোগাযোগ করে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের পরিচালক আবু হোসেন মঈনুল আহসান জাগো নিউজকে বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোর পক্ষে সব এলাকায় রোগীর সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। আর নির্বাচনে অনেক মানুষ এলাকায় যাচ্ছেন, এসব চিন্তা করেই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, রোগীকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে আমরা জোর দিয়েছি। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে পাঠানোর আগে যেন ভালোভাবে রোগীকে দেখা হয়, এ বিষয়টিও সবাইকে জানানো হয়েছে। এছাড়া স্থানান্তরের সময় রোগীকে কোথায় পাঠানো হচ্ছে, সে সম্পর্কে সঠিকভাবে নির্দেশনাও দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।