প্রতি বছরের মতো এবারও সোমবার (১ নভেম্বর) জাতীয় যুব দিবসে ২৭ সফল আত্মকর্মী ও সংগঠককে জাতীয় যুব পুরস্কার দেবে সরকার। ‘জাতীয় যুব পুরস্কার-২০২১’-এর জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

রোববার (৩১ অক্টোবর) সচিবালয়ে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জাতীয় যুব পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন।

আত্মকর্মী (সারাদেশে) ক্যাটাগরিতে তিনজন, বিভাগীয় কোটায় প্রতি বিভাগে দুজন করে আট বিভাগের মোট ১৬ জন, নারী কোটায় একজন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন/অটিস্টিক কোটায় একজন ও ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী কোটায় একজন আত্মকর্মী এ পুরস্কার পাবেন।

এছাড়া যুব সংগঠক কোটায় পাঁচজন জাতীয় যুব পুরস্কার পাচ্ছেন। অর্থ ছাড়াও মনোনীতদের ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হবে।

সোমবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মনোনীতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

আত্মকর্মী (সারাদেশ) ক্যাটাগরিতে কিশোরগঞ্জের রিমা আক্তার (প্রকল্পের নাম রিমি ফ্যাশন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র) প্রথম, বান্দরবানের অংশে থোয়াই মার্মা (প্রকল্পের নাম দ্য দামতুয়া) দ্বিতীয় এবং নওগাঁর মো. সোহেল রানা (প্রকল্পের নাম রুপগ্রাম এগ্রো ফার্ম ও বরেন্দ্র এগ্রো পার্ক) তৃতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন।

আত্মকর্মী (বিভাগীয় কোটা) ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিভাগে গোপালগঞ্জের স্বপন মজুমদার (স্বপন এগ্রো ফার্ম) প্রথম ও গাজীপুরের মনোয়ারা আক্তার (স্বর্ণা-ঝর্না বিউটি পার্লার, কবুতর পালন, বুটিক শপ, গবাদি পশু পালন, মৌচাষ ও হ্যান্ডিক্রাফট ও পাট পণ্য তৈরি) দ্বিতীয়, চট্টগ্রাম বিভাগের লক্ষ্মীপুরের আইরিন সুলতানা (আইরিন কম্পিউটার অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার প্রথম এবং নোয়াখালীর মো. মিজানুর রহমান (আবদুল হক ডেইরি ফার্ম) দ্বিতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন।

এছাড়া রাজশাহী বিভাগের রাজশাহীর মো. আব্দুর রহিম (আব্দুর রহিম মৎস্য ও পোল্ট্রি খামার) ও বগুড়ার মোছা. পারুল আক্তার (কারুকার্য বুটিক হাউজ); খুলনা বিভাগের মাগুরার অনুদেব দাস (দাস এগ্রো ফার্ম) ও বাগেরহাটের মোছা. জিলুফার ইয়াসমিন জলি (ইউশা মৎস্য খামার, ইউশা পোল্ট্রি ফার্ম); সিলেট বিভাগের সিলেটের মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরী (আজহান ডেইরি ফার্ম ও দুধওয়ালা প্রকল্প) ও হবিগঞ্জের মো. ইয়াকুত মিয়া (মেসার্স আলী ফিশারিজ একটি সমন্বিত প্রকল্প); বরিশাল বিভাগের বরগুনার মো. লুৎফুর রহমান (লিটন মৎস্য চাষ) ও ঝালকাঠির সৈয়দ এনামুল হক (সৈয়দ এগ্রো ফার্ম); রংপুর বিভাগের রংপুরের শৈবাল রহমান গিনি (ফ্যাশন গার্ডেন বুটিকস জোন) ও গাইবান্ধার মোছা. নুসরাত জাহান সখী (সখী মৎস্য অ্যান্ড ডেইরি ফার্ম); ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুরের ইসরাত রেহানা (রিহান হস্তশিল্প অ্যান্ড ফ্যাশন হাউজ) ও জামালপুরের মো. খোরশেদ আলম (মা-বাবার দোয়া মৎস্য চাষ প্রকল্প) জাতীয় যুব পুরস্কার পাচ্ছেন।

আত্মকর্মী (নারী কোটা) পুরস্কার পাচ্ছেন চট্টগ্রামের হাসিনা আক্তার চৌধুরী (প্রকল্পের নাম শাহ আকবরিয়া ডেইরি অ্যান্ড এগ্রো ফার্ম) ও আত্মকর্মী (বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন/অটিস্টিক কোটা) পুরস্কার পাচ্ছেন টাঙ্গাইলের মো. দেলোয়ার হোসেন (মা দুগ্ধ ও মৎস্য উৎপাদন খামার)।

বান্দরবানের চিং পাইয়ি মার্মা (চিং পাইয়ি শোপিস তৈরি) ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী কোটায় এ পুরস্কার পাচ্ছেন।

যুব সংগঠক ক্যাটাগরিতে পাঁচটি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। যুব সংগঠক (পুরুষ) ক্যাটাগরিতে মাগুরার মো. বাবুল আক্তার (বঙ্গবন্ধু সবুজ সংঘ) ও গাজীপুরের মো. সোহেল রানা (নোয়াগাঁও ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সংঘ) এই পুরস্কার পাচ্ছেন।

এছাড়া যুব সংগঠক (নারী) ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাচ্ছেন মুন্সীগঞ্জের নার্গিস আক্তার (শতদল মহিলা উন্নয়ন সমিতি) ও নরসিংদীর আফরোজা সুলতানা (গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মসংস্থান)।

এর বাইরে পিরোজপুরের মো. নিয়াজ ফেরদৌস (উত্তরায়ণ যুব সংঘ) যুব সংগঠক (বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন/অটিস্টিক কোটা) পুরস্কার পাচ্ছেন।