দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি বল খেলেছেন তাইজুল ইসলাম। ৮০ বল খেলে সর্বোচ্চ ৪৭ রানও তার।
অথচ ব্যাটার হিসেবে খুব একটা সুখ্যাতি নেই তার। প্রথম দিনে নেমেছিলেন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে। কিন্তু দ্বিতীয় দিনেও লম্বা সময় ব্যাট করেছেন তিনি।
তবুও বাংলাদেশের খেলতে পেরেছে কেবল ৫১ ওভার তিন বল, অলআউট হয় ১৮৮ রানের। ৯২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে লম্বা সময় ব্যাট করতে না পারায় হতাশার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প।
সিলেটে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই হতাশ যে ৫১ ওভারের বেশি ব্যাট করতে পারিনি। এটা কিছুটা হতাশার, কিন্তু যা হওয়ার তা হয়েই গেছে। আমরা শেষদিকে উইকেট পেয়েছি (বোলিংয়ে) কিন্তু দুর্ভাগ্য যে আরও বেশি উইকেট নিতে পারিনি। তারা ২১১ রানে এগিয়ে আছে। আমরা যদি কালকে সকালে আরও কিছু উইকেট নিতে পারি, তাহলে হয়তো আড়াইশ রান তাড়ার দিকে এগোতে পারি। ’
তাইজুল লম্বা সময় ধরে খেললেও ব্যাটাররা সেটা পারেননি। তবে শেষদিকে রান এনে দিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ। ২১ বলে শরিফুল ১৫ ও ২৮ বলে ২২ রান করেছেন খালেদ। দিনশেষে তাদের প্রশংসা ছিল ব্যাটিং কোচের কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘এটা এমন কিছু যে ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে আলোচনা করেছি। যেকোনো ধরনের ক্রিকেটেই, এক থেকে এগারো অবধি ব্যাট করতে হয়, আমাদের সবারই অবদান দরকার হয়। বিশেষত দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে। আমাদের লোয়ার অর্ডারের অবদান নিয়ে কথা বলেছি। ’
‘৮,৯, ১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটার মিলিয়ে সম্ভবত ১৩৭ বলে ৮৪ রান করেছে। তারা অনেক বল খেলেছে। বেশির ভাগই তাইজুল খেলেছে, কিন্তু খালেদ ও শরিফুলও অবদান রেখেছে। আমরা চাই আমাদের উপরের দিকের ব্যাটাররা বেশির ভাগ রান করুক, কিন্তু যদি লোয়ার অর্ডারও এভাবে রান করতে থাকে- তাহলে সামনের দিকে ভালো অবস্থায় থাকবো। এটাই আমাদের মানসিকতা হবে। ’