খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ৭৫’ পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে খুলনায় অভিভাবকের কাজ করেছিলেন রাজিয়া নাসের। তিনি তাঁর জীবদ্দাশায় প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর পাশে বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, খুনি জিয়া-মোশতাক বঙ্গবন্ধুর এ পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে নানাভাবে হয়রানি করেছে। তিনি শিশু সন্তানদের নিয়ে অনেক কষ্ট করে জীবনযাপন করেছেন। একই সাথে খুলনা আওয়ামী লীগকে নিজের সংসারের একটি অংশ হিসেবে দেখে কাজ করেছেন। শত প্রতিকূলতার মধ্যে বেগম রাজিয়া নাসের তাঁর সন্তানদেরকে যোগ্য, দক্ষ ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তাঁর সুযোগ্য সন্তানেরা আজ স্ব-স্ব ক্ষেত্রে আলোকবর্তিতা হিসেবে সমাজকে আলোকিত করছে। করোনাকালীন সময়ে রাজিয়া নাসেরের সন্তানেরা খুলনার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগীতা করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন রাজনৈতিক অভিভাবক হারিয়েছি। তাঁর আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
গতকাল বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ আবু নাসেরের সহধর্মিনী বেগম রাজিয়া নাসেরের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। এসময়ে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যা. শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, কামরুল ইসলাম বাবলু, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, অধ্যা. রুনু ইকবাল বিথার, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, এস এম আকিল উদ্দিন, শেখ আবিদ উল্লাহ, শেখ জাহিদুল ইসলাম, চ ম মুজিবর রহমান, আব্দুল হাই পলাশ, কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মো. শিহাব উদ্দিন, মুন্সি মো. সেলিম হোসেন, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, তকদির-এ-এলাহী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতালেব হোসেন মিয়া, রনজিত কুমার ঘোষ, এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, নাসরিন আক্তার, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব, প্যানেল মেয়র এ্যাড. মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, মো. আমির হোসেন, এ্যাড. এম সাজ্জাদ আলী, ড. সাঈদুর রহমান, জেসমিন সুলতানা শম্পা, বলাকা রায়, নূরিনা রহমান বিউটি, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, আইরিন সুলতানা নীপা, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, খাদিজা কবির তুলি, মেহজাবিন খান, পারভিন হাসমত, রোকেয়া রহমান, রেজওয়ানা প্রধান, শিউলি সেরেনিয়াবাত, চিশতী মুস্তারী বানু, রিতা আলম, নাজনিন নাহার বিউটি, কবীর পাঠান, এ্যাড. শাম্মী আক্তার, জি এম রেজাউল, মিজানুর রহমান জিয়া, আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, মাসুদ হাসান সোহান, জহির আব্বাস, জব্বার আলী হীরা, মাহমুদুর রহমান রাজেস, ওমর কামাল, রাহুল শাহরিয়ারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
স্মরণ সভা শেষে বেগম রাজিয়া নাসের ও শেখ আব্দুল কাইয়ুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম ও হাফেজ আব্দুর রহীম খান।
এর আগে বেগম রাজিয়া নাসেরের আত্মার মাগফেরাত কামনায় নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে বায়তুল আমান জামে মসজিদে পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, নৌ পরিবহন মালিক গ্রুপের সহ-সভাপতি শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, তরিকুল আলম খান, কাজী জাহিদ হোসেন, সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিমসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজানের আয়োজনে নগরীর তারেরপুকুরে আল-হেরা জামে মসজিদে মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a comment