আফগানিস্তান-সিরিয়ায় চলমান অস্থিতিশীলতার মধ্যে দুদিনে চার শতাধিক অবৈধ অভিবাসী ও আশ্রয়প্রত্যাশীকে ‘উদ্ধার’ করেছে তুরস্ক। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাতে তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, গত সোমবার (১ নভেম্বর) ও মঙ্গলবার তুরস্কের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ১৬৪ জন অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশী ও গ্রিসের ‘অবৈধ’ পুশব্যাকের পর এজিয়ান সাগর থেকে ২৫৮ আশ্রয়প্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে তুর্কি বাহিনী।
খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় আরদাহান প্রদেশে একটি চেকপয়েন্টে তিনটি গাড়ি থেকে ২৭ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় মানবপাচারে জড়িত সন্দেহে তিন গাড়িচালককে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার অভিবাসীদের প্রাদেশিক অভিবাসন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
পৃথক অভিযানে ভ্যান প্রদেশে একটি দোকানে লুকানো অবস্থায় ৭৩ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়। তারা সকলেই আফগান নাগরিক। মানবপাচারে জড়িত সন্দেহে ওই দোকানের মালিকসহ দুজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
এছাড়া বিতলিস প্রদেশে ৬৪ জন অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার ও অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারে সহযোগিতার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সম্প্রতি আফগানিস্তানে অস্থিরতার জেরে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে তুরস্ক। সিরিয়ার প্রায় ৪০ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া দেশটি আর আশ্রয়প্রার্থীদের চাপ নিতে চায় না। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দায়িত্ব নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
অবশ্য শুধু তুরস্কই নয়, আফগান অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সম্ভাব্য স্রোত ঠেকাতে সীমান্তে কড়াকড়ি বাড়িয়েছে গ্রিসও। এরই মধ্যে নতুন করে প্রায় ৪০ কিলোমিটারের বেড়া তৈরি করেছে তারা।