আগ্রাসনবাদী ইসরায়েল যদি ইরানে হামলা চালিয়ে যেতে থাকে, তবে এর পাল্টা আঘাত ‘তীব্র’ হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান।শনিবার (১৪ জুন) গভীর রাতে ইসরায়েলের হাইফা শহরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা শুরুর কিছুক্ষণ পর দেওয়া বিবৃতিতে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস-আইআরজিসি এ হুঁশিয়ারি দিয়েছে।বিবৃতিতে তারা বলেছে, যেসব ইসরায়েলি স্থাপনা ‘ফাইটার জেটের জ্বালানি তৈরি ও সরবরাহের’ সঙ্গে জড়িত, সেসব স্থাপনায় শনিবার রাতে হামলা চালানো হয়েছে।আইআরজিসি তাদের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, ইরানে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত থাকলে তেহরান এর পাল্টা আঘাত আরও ‘তীব্র’ করবে।শনিবার ইরানে ইসরায়েলের বিভিন্ন হামলা ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করে ওই বিবৃতিতে আইআরজিসি জানিয়েছে, ইরান তিনটি ক্রুজ মিসাইল, ১০টি ড্রোন ও বেশ কিছু মাইক্রো ইউএভি নিষ্ক্রিয় করেছে।ইরান পরমাণু অস্ত্র বানানোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এমন আশঙ্কাসহ দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব থেকে গত শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে দেশটির বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায় আগ্রাসনবাদী ইসরায়েল।এতে ৮০ জন নিহত ও ৩২০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী প্রধান, সেনাপ্রধান, পরমাণু বিজ্ঞানীসহ শীর্ষ অনেক কর্মকর্তা ছিলেন।রাতে এর পাল্টা জবাব দেয় ইরান। ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হতে থাকে ইসরায়েলে। এতে দেশটির প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র তেলআবিবসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। হতাহতের ঘটনাও ঘটে।শনিবার দিনভর দুপক্ষের বাহাসের মধ্যে বিশ্বনেতারা উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানান। কিন্তু ইসরায়েল ইরানের পরমাণু ও তেল স্থাপনাসহ অনেক স্থানে হামলা চালায়। এর পাল্টা জবাবে ইরানও গভীর রাতে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে থাকে। বিবিসির খবর অনুসারে, ঘোষণা দিয়ে ইরানের চালানো হামলায় ইসরায়েলে অন্তত নয়জন মারা গেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের হামলায় ইরানে কতজন মারা গেছে তা আনুষ্ঠানিকভাবে না জানা গেলেও ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমের ইস্ট আজারবাইজানের গভর্নর ৩০ জন সেনা সদস্যসহ মোট ৩১ জনের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেন।
