আসন্ন ঈদুল আজহা এবং চলমান তীব্র দাবদাহে খুলনা শহরের বাজারগুলোতে এসি, রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, রিচার্জেবল ফ্যান এবং সিলিং ফ্যানের বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
মার্চ থেকে গরম বাড়তে শুরু করে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়কালকে ইলেকট্রনিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রির মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই তিন মাসেই পুরো বছরের প্রায় ৯০ শতাংশ বিক্রি হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন বেস্ট ইলেকট্রনিকসের বিক্রয় নির্বাহী মতিউর রহমান। তিনি বিএসএস-কে বলেন, “আমাদের চলমান ‘ঈদ অফার ২০২৫’-এ এসি, রেফ্রিজারেটর, টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও ডিপ ফ্রিজারে রয়েছে বিশেষ ছাড় এবং উপহার, যা গ্রাহকদের আগ্রহ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।”
তিনি আরও জানান, খুলনার প্রচণ্ড গরম এবারে এসি ও ফ্রিজের বিক্রি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
পণ্য প্রস্তুতকারক ও আমদানিকারকরা ঈদের বাজারকে কেন্দ্র করে তাৎক্ষণিক নগদ ছাড় ও উপহারের ঘোষণা দিয়ে পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াচ্ছেন।
ডাকবাংলা এলাকার হাইসেন্স শোরুমের আউটলেট ম্যানেজার রাফসানুল ইসলাম বলেন, “আমাদের এসি ও ফ্রিজগুলোর গুণমান ও সাশ্রয়ী মূল্যই ক্রেতাদের বেশি আকৃষ্ট করছে। বিশেষ করে ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা থাকায় এসির প্রতি আগ্রহ বেশি।”
যশোর রোডের ওয়ালটন শোরুমের বিক্রয়কর্মী মো. হাবিব জানান, “ঈদুল আজহার মাত্র একদিন বাকি থাকায় আমরা অতিরিক্ত ফ্রিজের মজুত রেখেছি। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে আমরা প্রস্তুত।”
বুধবার শহরের কেডিএ অ্যাভিনিউর একাধিক ইলেকট্রনিক পণ্যের শোরুম ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনছেন অনেক ক্রেতা।
ইকবালনগরের চৌধুরী মাসুদ মাহমুদ বলেন, “বিদেশি ব্র্যান্ডের একটি ডিপ ফ্রিজ কেনা আমার বহুদিনের স্বপ্ন ছিল। মালয়েশিয়া থেকে আমার ছেলে টাকা পাঠানোর পর এবার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো।”
গল্লামারির বাসিন্দা মৌটুসি আহমেদ বলেন, “এই গরমে আর সহ্য হচ্ছিল না। তাই ঈদের আগে একটি ডিপ ফ্রিজ ও রিচার্জেবল ফ্যান কিনেছি।”
গভর্নমেন্ট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বয়রার প্রভাষক মাহমুদ হোসেন বলেন, “এই সপ্তাহেই ঈদ বোনাস ও বেতন পেয়েছি। ঈদের জন্য এবং গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে আমি একটি ডিপ ফ্রিজ ও একটি রিচার্জেবল ফ্যান কিনেছি।”
ঈদুল আজহা ও গরমে বাড়তি প্রয়োজন ও আরামদায়ক জীবনযাপনের প্রয়োজনে খুলনার ইলেকট্রনিক পণ্যের বাজার এখন চাঙ্গা।