
একজন মানুষকে দেখেই বলে দেওয়া সম্ভব নয় তিনি কোন রোগে আক্রান্ত। শরীরের ভেতর কী চলছে তা সঠিকভাবে জানতে হবে অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেই হয়। তাই রোগ নির্ণয় করতে চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় টেস্ট করাতে দেন।
বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ে রক্ত পরীক্ষা, সিটি স্ক্যান, এক্স-রে, এমআরআই এর টেস্ট করতে দেন চিকিৎসকরা। এতেই যাবতীয় রোগ ধরা পড়ে। কিন্তু এসব টেস্ট করানোর আগে কিছু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। কী সেগুলো? চলুন জেনে নিই-
আল্ট্রাসাউন্ড করানোর আগে কী করতে হয়?
তলপেটের আল্ট্রাসাউন্ড করালে ৬-৮ ঘণ্টা খালি পেটে থাকতে হয়। কাকে কতক্ষণ খালি পেটে থাকতে হবে, তা চিকিৎসকই বলে দেবেন। খালি পেটে থাকলে শরীরের ভেতরের অঙ্গের সঠিক ছবি ধরা পড়ে। আবার পেলভিক বা প্রেগন্যান্সির সময় আল্ট্রাসাউন্ড করালে ফুল ব্লাডার দরকার। তখন প্রচুর পানি খেতে হয়। ইউরিন জমা না হলে আল্ট্রাসাউন্ড করা যায় না।
যে অংশে আল্ট্রাসাউন্ড করা হয়, সেখানে কোনো ক্রিম, লোশন বা পাউডার লাগাবেন না। এতে আল্ট্রাসাউন্ডের তরঙ্গে প্রভাব পড়বে।
এক্স-রে করানোর আগে কী করা জরুরি?
এক্স-রে করানোর সময়ে সমস্ত ধাতব বস্তু খুলে রাখুন। এসময় কোনো গয়না পরবেন না। যে অংশে এক্স-রে করাবেন, সেখানে কাপড়ও রাখা চলবে না। এই বিষয়ে যেখানে এক্স-রে করাবেন, সেখানকার নার্সই সাহায্য করবেন। এছাড়া তেমন কোনো সতর্কতার প্রয়োজন হয় না।
সিটি স্ক্যান করানোর আগে কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন?
সিটি স্ক্যান করানোর আগে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সিটি স্ক্যানের পর প্রস্রাব করুন। এতে শরীর থেকে কনট্রাস্ট ডাই বেরিয়ে যায়। কনট্রাস্ট ডাই হলো এক ধরনের পদার্থ, যা এমন পরীক্ষার সময় ব্যবহার হয়। কনট্রাস্ট ডাইতে অ্যালার্জি থাকলে আগেই এ বিষয়ে চিকিৎসককে জানাবেন।
এমআরআই করার আগে কোন বিষয়ে সতর্ক থাকবেন?
এমআরআই করানোর আগে সব ধাতব পদার্থ খুলে রাখুন। অর্থাৎ, এসময় কোনো গয়না পরা চলবে না। শরীরের কোনো হাড় ভাঙলে অনেকসময় স্টেনলেস স্টিল বসাতে হয়। আপনার শরীরে যদি আগে থেকে এমন স্টেনলেস স্টিল বা লোহা থাকে, সেটি এমআরআই এর আগেই চিকিৎসককে জানান।