
গতকাল ইংল্যান্ডের ওভালে শুরু হয়েছে এবারের অ্যাশেজের পঞ্চম এবং শেষ টেস্ট। ২-২ সমতা নিয়ে এ ম্যাচ শুরু হবার সম্ভাবনা থাকলেও তা হয় নি বৃষ্টির বাঁধায়। চতুর্থ টেস্ট জয়ের ইংলিশ স্বপ্ন ভেসে গেছে প্রবল বর্ষণে। তাই অলিখিত ফাইনাল না হয়ে ওভাল হয়ে ওঠেছে বেন স্টোকসের দলের সিরিজ বাঁচানোর মঞ্চ। আর তাতে প্রথম দিন ব্যাটিংয়ে নেমে ২৮৩ রানেই অল আউট হয়েছে তারা।
এবারের অ্যাশেজের প্রথম চার টেস্টেই টসে হেরেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ব্যতিক্রম গতকাল। টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আর তাতেই বাজিমাত। বাজবল খেলা ইংলিশদের সবকটি উইকেট অজি বোলাররা তুলে নিয়েছেন মাত্র ৫৪ ওভার চার বলেই, পরে ব্যাট হাতেও ১ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ৬১ রান।
এদিকে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ইংলিশ ওপেনার। দুজনে মিলে উদ্বোধনী জুটিতে দ্রত তুলে নিয়েছিলেন ৬২ রান। তবে কামিন্সের বলে স্লিপে স্মিথের ক্যাচ হয়ে বেন দাকেট ৪১ রান করে ফেরার পরের ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন জ্যাক ক্রলিও। ৪ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারানো ইংল্যান্ড আরও একবার বিপর্যয়ের মুখে পড়ে জো রুটের বিদায়ে।
দলীয় ৬৬ রানে দুই ওপেনারকে হারানো ইংলিশদের হাল ধরার জন্য ক্রিজে তখন ছিলেন রুট এবং মইন আলী। তবে জস হ্যাজলউডের বলে কুপোকাত হয়ে মাত্র ৫ রানেই ফিরে যান রুট। এরপর অবশ্য বড় একটি জুটিই গড়ে ওঠেছিল। মইন এবং হ্যারি ব্রুক মিলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে করেন ১১১ রান।
দলীয় ১৮৪ রানে টড মার্ফির স্পিনের ফাঁদে পড়ে আউট হয়ে ৩৪ রানে সাজঘরে ফিরেন মইন। এরপর ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৯৯ রান যোগ করতে দিয়েছিল অজি বোলাররা। এর মধ্যেই তুলে নিয়েছে বাকি সাত উইকেট।
মইন সাজঘরে ফেরার পর স্টার্কেই দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন অধিনায়ক স্টোকস। এরপর বেয়ারস্টোও ফিরেছেন দ্রুতই, আর সঙ্গীহীন হয়ে ব্রুকও টিকতে পারেন নি বেশিক্ষণ। তবে আউট হবার আগে করেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৪ রান। ফলে শেষ পর্যন্ত ইংলিশদের সংগ্রহ দায়ায় ২৮৩।
এদিকে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ঐ ওপেনার উসমান খাজা এবং ডেভিড ওয়ার্নার। তবে দলীয় ৪৯ রানে ওয়ার্নার ফিরে গেলেও শেষ পর্যন্ত ২৫ ওভার ব্যাট করে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন শেষে ৬১ রান করতে পেরেছে তারা। ফলে ইংলিশদের চেয়ে ২২১ রানে পিছিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাট হাতে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শ্রু করবেন খাজা এবং মার্নাস লাবুশেন।


