
পাঁচ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় খুলনা সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের জন্য তালুকদার আবদুল খালেককে মেয়র হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ওবায়দুল কাদের।
এছাড়া সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের জন্য আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, রাজশাহীতে খায়রুজ্জামান লিটন, বরিশালে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান।
এর আগে সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্বে করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, কাজী জাফর উল্যাহ, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, মো. রাশিদুল আলম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৫ মে। খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ১২ জুন এবং রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোট হবে ২১ জুন। এসব ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল থেকে বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত পাঁচ সিটি করপোরেশন ও পাঁচ পৌরসভার মেয়র এবং তিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগ।
২০১৮ সালের ১৫ মে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছিলেন ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুজ্জাম্মেল হক ১৪ হাজার ৩৬৩, জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান (মুশফিক) ১ হাজার ৭২ এবং সিপিবির মিজানুর রহমান ৫৩৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছিলেন।
এছাড়া তিনি ২০০৮ খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন। তবে ২০১৩ সালের নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।