
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্যই ছিলো বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। আমরা চাই বাংলাদেশে সত্যিকার গণতান্ত্রিক ট্রানজিশান হোক। জনগণের ম্যান্ডেটে যারাই ভোটে জিতবে তারাই ক্ষমতা গ্রহণ করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে যাতে জনগণকে আমাদের ইতিহাসের সবচাইতে ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়া যায়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে ওয়ান অব দ্যা বেস্ট ইলেকশন হবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অনন্য নজির হবে এটি, যেখানে ভোটাররা আনন্দচিত্তে ও উৎসবের সাথে ভোট দিতে পারবেন।
তিনি আজ (শনিবার) বিকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের খুলনার দিকে যথেষ্ট দৃষ্টি আছে। আমরা আশাকরি খুলনা দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হিসেবে বিকশিত হবে। কিন্তু গত দশকে খুলনা শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধি দেশের অন্য শহরগুলোর চেয়ে কম। এর পেছনে পাটশিল্পের খারাপ অবস্থা ও হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিখাতের প্রবৃদ্ধি কম হওয়া কিছুটা দায়ী বলে মনে করা হয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বন্ধ থাকা জুট মিলগুলো পাবলিক-প্রাইভেট জয়েন্ট ভেঞ্চারে চালুর বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট সেক্টরগুলো ভাবছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার উপকূলীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও উপকূলে সুপেয় পানি আরও সহজলভ্য করতে সরকার আরো উদ্যোগী হবে। খুলনার বিকাশ বহুলাংশে মোংলা বন্দরের বিকাশের ওপর নির্ভর করে। এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হলে খুলনা শহরকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। মোংলা বন্দরের পাশে চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য ইকোনমিক জোন করে দেওয়ার জন্য বিডা কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। এসময় প্রেসসচিব জানান, বর্তমানে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, আমরা এ সমস্যার আশু সমাধান প্রত্যাশা করি। কুয়েটে খুব শীঘ্রই উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে বলে শিক্ষা উপদেষ্টার সূত্রে জানা গিয়েছে।
মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল, প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হকসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা অংশ নেন।