
অবশেষে তিন মাস চার দিনের মাথায় খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব সার্জারির ডিন অধ্যাপক ডা: মো: রুহুল আমিন।
সোমবার (৪ আগস্ট) তাকে চার বছরের জন্য ভিসি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব সঞ্জীব দাশ।
প্রজ্ঞাপনে ছয় দফা শর্ত দিয়ে বলা হয়, যোগদানের তারিখ হতে চার বছরের জন্য নিয়োগ বলবৎ থাকবে। বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন। নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে মূল পদ থেকে অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদন শেষে উপাচার্য পদের অবশিষ্ট মেয়াদ পূর্ণ করবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী উপাচার্য পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। উপাচার্য হিসেবে তিনি খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২১ এর ধারা অনুযায়ী তাঁর দায়িত্বাবলী পালন করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
চলতি বছরের ২ মে থেকে খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টি চলছে ভিসিবিহীন। এজন্য রুটিন দায়িত্বে থাকা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের আর্থিক ক্ষমতা নেই সবকিছু করার। যে কারণে বিগত তিন মাসের বেতন যেমন হয়নি, তেমনি সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাননি বিগত ঈদ-উল-আযহার বোনাসও।
উল্লেখ্য, খুলনা-মংলা রেল সেতু সংলগ্ন কেএমপির লবণচরা থানার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৫০ একর জমিতে খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের জুলাই মাসে। যেটি শেষ হওয়ার কথা ২০২৭ সালের জুন মাসে। পরে গত ১৩ এপ্রিল নাম পরিবর্তন করে করা হয় খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু ভিসি ও প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ না হওয়ায় জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে অন্য কোনো কাজই করা সম্ভব হয়নি।
তাছাড়া ২০২৩ সালে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জলমা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দু’বছরের জন্য এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) নেওয়া হয়। এজন্য ভিসি নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্ব হলে পরিকল্পনা কমিশন থেকে জিও করারও কোনো সুযোগ ছিল না। ভিসি নিয়োগের সাথে সাথে এমন নানান জটিলতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি মুক্তি পেলো।