শীতকালে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে কম-বেশি সবারই ঠোঁট ফাটে। এটি স্বাভাবিক। কিন্তু শীত যাওয়ার পরও কি আপনার ঠোঁট ফাটছে? গরমেও ভুগছেন এ সমস্যায়? মূলত, গরমে রোদের কারণে ঠোঁট শুকিয়ে যায়। তাই এসময় ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে।
গরমে ঠোঁট ফাটার পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা। প্রখর সূর্যের আলোতে ত্বক থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হয়ে যায়। দেহে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এতে ঠোঁট শুষ্ক হতে শুরু করে। গরমে অনেকেই ঠোঁটের যত্ন নেন না। ঠোঁট ফাটা সমস্যা থেকে বাঁচতে তাই কাজে লাগান কিছু উপায়।
ঠোঁটের সুরক্ষা নিশ্চিতে স্ক্রাবিং অবশ্যই করণীয়। চালের গুঁড়ার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল বা বাদাম তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে ব্যবহার করতে পারেন লেবু ও চিনি। উপাদান যাই হোক সঙ্গে তেল যোগ করুন। এতে ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
সারাদিন না পারলেও রাতে অন্তত ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে নারিকেল তেল, ঘি বা অলিভ অয়েলের মতো উপাদানগুলো লাগাতে পারেন। ঠোঁটের আশেপাশের ত্বকেও খানিকটা তেল ম্যাসেজ করে নিন। এতে ত্বক থাকবে হাইড্রেটেড। ফলে ঠোঁট ফাটা সমস্যা হবে না।
হাত বা মুখের ত্বককে রোদ থেকে বাঁচাতে আমরা সানস্ক্রিন ব্যবহার করি। কিন্তু এড়িয়ে যাই ঠোঁট। এদিকে সচেতন হতে হবে। ঠোঁটকে রোদ থেকে সুরক্ষিত রাখুন। এক্ষেত্রে এসপিএস ৩০ যুক্ত লিপবাম লাগাতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন সানস্ক্রিন লোশনও।
ফেটে যাওয়া সমস্যা থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে ঠোঁটের আর্দ্রতা নিশ্চিত করুন। বেশি করে পানি পান করুন। খাদ্যতালিকায় রাখুন এমন খাবার যা দেহের আর্দ্রতা বাড়ায়। এক্ষেত্রে তরমুজ, আপেল, পেঁপের মতো ফলগুলো উপকারি।
অনেকসময় লিপস্টিকের কারণে ঠোঁটের শুষ্কতা বাড়ে। যা থেকে ঠোঁট ফাটা সমস্যা দেখা দেয়। ম্যাট লিপস্টিক এড়িয়ে চলুন। বেশি ঠোঁট ফাটলে লিপজেল বা লিপবাম ব্যবহার করুন।
ছোটখাটো এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে আর ঠোঁট ফাটা সমস্যা থাকবে না।
পি এস/এন আই
