করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। সোমবার তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে বলে নিজেই এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। তারপর ফ্যামিলিতে নানা বিপর্যয় ঘটে। নঈমও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলো। এক সময় সুস্থ হয়ে ওঠে। আমার মা মারা যান। মাসখানেক আগে নঈম দ্বিতীয়বারের মতো আক্রান্ত হয়। সুস্থ হয়েও ওঠে। দুই বছর নিজেকে সামলে রেখেছিলাম। কিন্তু ২০২২ এসে আর পারলাম না। কোভিড ১৯ ছাড়ল না। সবার কাছে দোয়া চাই।
বর্তমানে ফরিদা ইয়াসমিন বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে দেশে গত কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। ওমিক্রনের দাপটে মার্চ-এপ্রিলে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আজ দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে লকডাউনের চিন্তা আমাদের মাথায় আছে। তবে এখনই লকডাউনের বিষয়ে ভাবছি না। বলেন, ওমিক্রন মোকাবিলায় আমরা কিছু বিষয় সুপারিশ করেছি। সেগুলো হলো—মাস্ক ছাড়া কেউ যানবাহনে চলাচল করলে জরিমানা করা হবে, যানবাহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, মাস্ক পরে রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে খেতে যেতে হবে, দোকানের সময়সীমা কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল চালু থাকবে। তবে সংক্রমণ বাড়লে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পিএসএন/এমঅাই