মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে এক হাজার ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫৭ জন। এনিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ২৪ হাজার ৬০৭ জনে। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার ৬৭১ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯ হাজার ৫৪৬ জন এবং ১৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ২ কোটি ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৩ হাজার ১৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৩৪৬ জন এবং মারা গেছেন ২৪৯ জন। মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৭৪ লাখ ২৭ হাজার ৪৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪৯ জন মারা গেছেন।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৯ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৯২৮ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৫৯০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৫ হাজার ২৫৮ জনের।
ফ্রান্সে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ২৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৩ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩১ হাজার ৩৯৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৪৪ জন মারা গেছেন।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৯৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৬০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২১ লাখ ১৪ হাজার ৪২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬৪ জন মারা গেছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখানে তাণ্ডব চালানোর পর ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসটির ভয়াবহতায় ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।